মিকি আর্থারের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করার পর থেকেই পাকিস্তানের ক্রিকেটমহলে পরবর্তী হেড কোচ হিসেবে মিসবাহ-উল-হকের নাম শোনা যাচ্ছিল। সরফরাজদের পরবর্তী হেড কোচ কে হবেন তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও আপাতত সেই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মিসবাহই।
সাবেক এই পাক অধিনায়কের সঙ্গে কোচিং স্টাফ হিসাবে চুক্তি করা না হলেও পিসিবি জাতীয় দলের আসন্ন ক্যাম্পের জন্য দায়িত্ব তুলে দিয়েছে তার হাতেই।
সোমবার থেকে লাহোরে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বসবে ১৭ দিনের জাতীয় ক্যাম্প। এই ক্যাম্প পরিচালনার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে মিসবাহকে। অর্থাৎ ১৭ দিনের ক্যাম্পে কার্যত পাকিস্তানের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মিসবাহ-উল-হক। পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৪ জন ক্রিকেটার এবং চুক্তির বাইরে থাকা ৬ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই জাতীয় ক্যাম্প।
পাকিস্তান বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা আজহার আলি এই মুহূর্তে সামারসেটের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যস্ত। এর পরই তিনি যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা আরও পাঁচ ক্রিকেটার বাবর আজম, ফকর জামান, ইমদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আব্বাস ও মোহাম্মদ আমিরকে জাতীয় ক্যাম্প থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই পাঁচ ক্রিকেটারও ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যস্ত রয়েছেন।
ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাদের প্রত্যেককে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ কাইদ-ই-আজম ট্রফির প্রথম ম্যাচ থেকেই মাঠে নামতে হবে বাবর, আমিরদের। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানের ৬ দলীয় চার দিনের ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।
২০১৯-২০ আন্তর্জাতিক মৌসুমে পাকিস্তান ৬টি টেস্ট, ৩টি একদিনের ম্যাচ ও ৯টি ইন্টারন্যাশনাল টি-২০ ম্যাচ খেলবে। অক্টোবরে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের নতুন আন্তর্জাতিক মৌসুম। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটের আসর বসেনি।
নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে পাকিস্তানে ঘুরে এলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিরিজ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। এর আগেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-২০ ম্যাচ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। তবে শ্রীলঙ্কার প্রথম সারির ক্রিকেটাররা নিরাপত্তার কারণে পাক ভূ-খণ্ডে পা দিতে অস্বীকার করেন।