ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তর, মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই বেছে নেওয়া হবে বিরাট কোহলিদের পরবর্তী কোচ। সামনাসামনি পরীক্ষা দেবেন ৫ জন কোচ। ষষ্ঠ কোচ হিসেবে থাকবেন রবি শাস্ত্রী। যেহেতু তিনি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে, তাই, তাঁকে সরাসরি ক্রিকেট সেন্টারের পরীক্ষা হলে ডাকা হচ্ছে না। প্রয়োজনে কপিল দেবরা তাঁর সঙ্গে স্কাইপে কথা বলে নেবেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে রবিন সিং, লালচাঁদ রাজপুত, ফিল সিমন্স, টম মুডি ও মাইক হেসনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষা দেওয়ার প্রক্রিয়া। এঁদের মধ্যে টম মুডি আগে দু’বার কোচ হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তাই তিনি এ ব্যাপারে খানিকটা অভিজ্ঞ।
ভারতীয় বোর্ড অবশ্য সব কোচের জন্যই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা করে রাখছে। থাকবে টিভি, মনিটর, ক্যামেরা, বড় সাদা বোর্ড, যাতে প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের বক্তব্য লিখিতভাবে তুলে ধরতে পারেন। ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে আসছেন সবাই। সঙ্গে ওঁরা জমা দেবেন নিজেদের পরিকল্পনার রূপরেখা, এ–ফোর কাগজে টাইপ করা। কীভাবে কোচিং করাতে চান, এই মর্মে আলাদা ফাইলে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবেন প্রত্যেকেই।
বোর্ডের পক্ষ থেকে সিইও রাহুল জহুরি থাকবেন পরীক্ষা চলাকালীন, যাতে দেশি বা বিদেশি কোচের কোনো অসুবিধা না হয়।
বেশ কয়েক বছর আগে গ্রেগ চ্যাপেল যখন দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলির টিম ইন্ডিয়ার কোচ হতে, তখন তিনি তৃণমূল স্তরে কীভাবে ক্রিকেটের উন্নতি করা সম্ভব এদেশে, সে ব্যাপারে আলোকপাত করেছিলেন। সুনীল গাভাসকার ছিলেন তখন একজন পরীক্ষক হিসেবে এবং তিনি ও অন্য পরীক্ষকরা সেবার গ্রেগকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল স্তর থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার পরিকল্পনার জন্য সবচেয়ে বেশি নম্বর দিয়েছিলেন।
এমন কোনো পরিকল্পনার কথা উঠে আসতে পারে এবারও। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, অধিনায়ক বিরাট কোহলি চাইছেন রবি শাস্ত্রীকে। তখন এই পরীক্ষার কতটা গুরুত্ব থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।