অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপ টাউনে লজ্জাজনক বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির কারণে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও দলের নেতৃত্ব বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। যা আগামী বছর শেষ হবে। এর পর আবারও তাকে দলের অধিনায়কত্বে পুনর্বহাল বিষয়ে কথা বলেছেন সিএ চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস।
বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট ফিরলেও স্মিথ টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে। এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই স্মিথের সেঞ্চুরিতে ভর করে ইংল্যান্ডকে ২৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। তবে এমন রাজসিক ফেরা সত্ত্বেও নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর স্মিথকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন এডিংস।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকাকে এডিংস বলেন, ‘এমনকি এটা আমাদের রাডারেও নেই। আমাদের একজন অধিনায়ক আছে এবং সে খুবই ভালো করছে। স্টিভ মাত্র দলে ফিরেছেন। এ বিষয়ে আমরা কিছু চিন্তা করিনি কিংবা বোর্ড সভায়ও এমন কিছু নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্মিথ, ওয়ার্নার এবং ব্যানক্রফট দলে ফেরায় আমরা খুশি। তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনাটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য এবং সঠিকভাবে তাদের খেলানো, যা তারা করছে। সুতরাং এটা আমাদের নজরে নেই। তারা ভালো করায় আমরা খুশি এবং তাদেরকে দলে ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত। টিম পাইন বেশ ভালোভাবে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটা বোর্ডের অ্যাজেন্ডা নয়।’
স্মিথের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার পর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিম পাইনকে অধিনায়ক করা হয়। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যাট কামিন্স এবং ট্রাভিস হেড।
লর্ডসে আগামী ১৪ আগস্ট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পুনরায় মাঠে দেখা যাবে স্মিথকে। বার্মিংহামে বড় ব্যবধানে জয়ী হওয়ায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।