ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের হতাশাজনক পারফরমেন্সের আর্থারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদ থেকে বাদ পড়ে মিকি আর্থার বলেছেন, তিনি ‘হতাশ ও ব্যথিত’।
ইংল্যান্ড দলের কোচ হওয়ার লাইনে থাকা মিকি আর্থার বলেন, কাছাকাছি গিয়েও বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ব্যর্থ হওয়া পাকিস্তান দলের জন্য তিনি নিজের সর্বোচ্চটা উজার করে দিয়েছেন।
পিসিবি তাকে বাদ দেওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এএফপিকে আর্থার বলেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ এবং ব্যথিত। পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির জন্য আমি নিজকে উজার করে দিয়েছি।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পরই পিসিবির সঙ্গে আর্থারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং তিনি নতুন করে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আর্থারসহ পুরো কোচিং স্টফকেই বাদ দিয়েছে পিসিবি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান অ্যাশেজ সিরিজ শেষে ইংল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রেভর বেলিস। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ইংল্যান্ড দলের পরবর্তী কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম রয়েছে আর্থারের।
পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ হিসেবে ২০১৬ সালের মে মাসে যোগ দেন আর্থার। তার অধীনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট সিনিজ ড্র করে এবং আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এরপর ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করে পাকিস্তান। সিমিত ওভারের ক্রিকেটেও উন্নতি ঘটে দলটির।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় সম্পর্কে আর্থার বলেন, তারুণ্য নির্ভর একটি পুরো নতুন দল নিয়ে আমরা শিরোপা জিতেছিলাম। এ সময় আমরা টি-২০ র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দলও হয়েছিলাম। যা ছিল একটি বড় অর্জন।
তবে গত দুই বছরে টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তান দল মোটেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছে। সব মিলিয়ে আর্থারের অধীনে পাকিস্তান ২৮ টেস্টের মধ্যে ১০টিতে জয়ী হয়েছে এবং পরাজিত হয়েছে ১৭টিতে।
গত দুই বছর ওয়ানডে ক্রিকেটেও ধুকেছে পাকিস্তান দল। আর্থারের অধীনে ৬৬ ওয়ানডে খেলে পাকিস্তান জয় পেয়েছে ২৯টিতে, হেরেছে ৩৪টি। বাকি তিনটি হয়েছে পরিত্যক্ত।