টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ জেমি সিডন্স। একই সঙ্গে তামিমকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে ফ্লপ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যা নিয়ে তিনি নিজেও হতাশ । তবে এ অবস্থায় তামিমকে ধৈর্য্য ধরতে বললেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ সিডন্স। ক্রিকইনফো প্রতাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিডন্স বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজের শুরু থেকেই আমি তামিমকে দেখেছি। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত তামিম বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই ছিল। প্রথম ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড হয় তামিম এবং পরের ম্যাচে অপ্রয়োজনীয় শট খেলে উইকেট দিয়েছে সে। তামিম গায়ের জোরে বল মারতে চাইছে, যার কোনো প্রয়োজনই নেই। আমার মনে হয়, সে অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে। তাকে ব্যাটিংয়ে ধৈর্য্য ধরতে হবে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শূণ্য ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯ রান করে ফিরেন তামিম। দু’বারই বোল্ড হয়েছেন। প্রথমবার ওয়ানডেকে বিদায় বলা মালিঙ্গার ইর্য়কারে এবং পরের ম্যাচে লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানার বলে বোল্ড হন তামিম। তবে শ্রীলঙ্কা ভালো বল করেছে বলে মনে করেন সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বোলাররা ভালো বোলিং করছে। এতে রান করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই ভালো করতে হলে নিজেকে আরেকটু মেলে ধরতে এবং তামিমকে আরও ধৈর্যধারণ ধরতে হবে। তাকে ৫০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পরিকল্পনা করতে হবে এবং প্রথম ২০ ওভারেই সব রান করার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
তামিমের ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা দেখেন না সিডন্স। টেকনিকে হালকা পরিবর্তন আনলেই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান সিডন্স।
বলেন, ‘টেকনিক্যালি তামিম ঠিক আছে। তবে তার সামনের পা সোজা করতে হবে। কিন্তু এটি মনে রাখতে হবে তামিম একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। সে অতীতে দেশকে অনেক দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়েছে। ভবিষ্যতেও ভালো করবে।’
রান না পাওয়ায় চিন্তিত তামিমও। তাই সাবেক বসকে পরামর্শ চেয়ে নিজের ব্যাটিং ফুটেজ পাঠিয়েছিলেন তামিম -এমনটাই জানান সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রায় প্রতিটা বল আমি দেখেছি। কারণ, তামিম আমাকে ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়ে আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছিল।’
ভিডিও দেখে পরে তামিমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন সিডন্স। তিনি বলেন, ‘প্রথম ১০ ওভার দেখেশুনে খেলতে হবে। পরে বলের টার্ন কমে যাবে। এতে সে ভালো ইনিংস গড়তে পারতো। ভালো লেন্থের বলে অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলাও সহজ হয়ে যেত। গত বিশ্বকাপেও অধিকাংশ বোলার তার বিপক্ষে শর্ট বল করেছে।’
২০০৭ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পান সিডন্স। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের সাথে চুক্তি ছিল তার। পরে আর সিডন্সের সাথে চুক্তি বাড়ায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ ঐ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই মিশন শেষ করে বাংলাদেশ।