পাকিস্তানের বোলিং তোপে পড়েও জেমস নিশামের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ২৩৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলেসেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পাকিস্তানকে এখন ২৩৮ রান করতে হবে।
বুথবার (২৬ন জুন) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। পরে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩২ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন জেমস নিশাম এবং কলিন ডি গ্রান্ড হোম।
তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ২৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে ১১২ বলে সর্বোচ্চ ৯৭ রান করেন নিশাম। ৭১ বলে ৬৪ রান করে আউট হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম।
হারলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় পাকিস্তান। আর জিতলে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে। এমন সমীকরণের ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়ার নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক পর শুরু হয় খেলা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমিরের গতির মুখে পড়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্টিন গাপটিল। প্রাথমিক ধকল সামলিয়ে ওঠার আগেই ফের বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার কলিন মুনরো।
চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি রস টেইলরও। শাহীন শাহ আফ্রিদির গতির বলে উইকেটকিপার সরফরাজ আহমেদের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে ধুকতে থাকা নিউজিল্যান্ড শিবিরে চতুর্থ আঘাত হানেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। কলিন মুনরো, রস টেইলরের পর টম লাথামকে সাজঘরে ফেরান শাহীন। তার গতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মুনরো, টেইলর, লাথামরা। দলীয় ১২.৩ ওভারে ৪৬ রানে মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, রস টেইলর ও টম লাথামের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
২৬.২ ওভারে ৮৩ রানে ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত গ্রান্ডহ্যামের ৭১ বলে ৬৪ ও নিশামের ১১২ বলে ৫ চার ও দুই ছয়ে অপরাজিত ৯৭ রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানের সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি ৩টি, মোহাম্মদ আমির ও শাদাব খান একটি উইকেট শিকার করেন।