জিম্বাবুয়ে সরকার দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিভমোর মাকোনিসহ অন্যান্য পদে কর্মরত সবাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) দেশটির ক্রীড়াক্ষেত্রের দায়িত্বে থাকা স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিটি (এসআরসি) একটি বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের সব কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে। এসআরসির অধীনেই চলে দেশটির সকল ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশন।
বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ফলে দেশটির ক্রিকেটে যেন এর প্রভাব না পড়ে এ জন্য একটি অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ডেভিড এলম্যান-ব্রাউন, আহমেদ ইব্রাহিম, চার্লি পবার্টসন, সিপ্রিয়ান মানডেন, রবার্টসন চিনয়েংতেরে, সেকেসাই নোকওয়ারা এবং ডানকান ফ্রস্টকে রাখা হয়েছে।
এর আগে কর্মকর্তাদের নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এবং ক্রিকেটের উন্নতিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডে নিয়ে তদন্তে নামে এসআরসি। সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বোর্ডের সব কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণ সদস্য। এর মানে এটা নয় যে, তারা জিম্বাবুয়ের আইনের বাইরে। বিশেষ করে এসআরসির আইনের অধীনে আছে তারা। কিন্তু তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে চলে। এছাড়া বোর্ডের নিয়মকানুন অবজ্ঞার অনেক অভিযোগ আসতে থাকে পুরো দেশ জুড়ে।
২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় আফ্রিকার দেশটি। ক্রিকেটে তাদের বর্তমান অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। এর মধ্যে ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ঘোষণায় দেশটির ক্রিকেটে প্রভাব ফেলতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।