দ্বাদশ বিশ্বকাপে প্রথম বড় অঘটন কি ২৭তম ম্যাচেই ঘটলো? ক্রিকেট বিশ্লেকরা তাই মনে করছেন। স্বাগতিক ও ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল ইংল্যান্ডকে ২১২ রানে অলআউট করে ২০ রানে হারিয়ে দিল খর্বশক্তির শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী না থাকলেও দুর্দান্ত লড়াই করার আভাস আগের দিনই দিয়ে রেখেছিলেন লঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ২৩৩ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জয়ে অনেক বেশি উচ্ছসিত শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। তবে এ জয়কে দলগত প্রচেষ্টার সাফল্য বলে জানান তিনি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে করুনারত্নে বলেন, ‘দুর্দান্ত এক জয়। ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর গড়ার চেষ্টা করেছে। তারপরও কম পুঁজি নিয়ে বোলাররা দারুণ পারফরমেন্স করেছে। এটি দলগত সাফল্য।’
হেডিংলির লিডসে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় শ্রীলঙ্কা। ৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে গিয়েছিল তারা। তারপরও আবিস্কা ফার্নান্দোর ৪৯ ও কুশল মেন্ডিসের ৪৬ রানের সুবাদে লড়াইয়ে ফিরে শ্রীলঙ্কা। তবে তাদের বিদায়ের পর আবারও চাপে পড়ে যায় দলটি।
এক প্রান্ত আগলে রেখে অনবদ্য ৮৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩২ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ১১৫ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ম্যাথুজ।
স্লো পিচে ম্যাথুজের এমন দুর্দান্ত ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে করুনারত্নেকে। তিনি বলেন, ‘পিচ ব্যাটিং উপযোগী ছিল না। অনেক বেশি স্লো ছিল। এ পিচে ৩০০ রান করা কঠিন। তবে আমরা চেয়েছিলাম ২৫০-২৭৫ রান করতে। আমরা সেটিও করতে পারিনি। ম্যাথুজ দারুণ ব্যাট করেছে। স্কোর বোর্ডে লড়াই করার পুঁজি দাঁড় করিয়েছে ম্যাথুজ। অল্প পুঁজি পেয়ে বোলাররা বুঝতে পেরেছে তাদের কী করতে হবে।’
অল্প পুঁজি পেয়ে পরবর্তীতে বল হাতে জ্বলে ওঠেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা। ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপকে ২১২ রানেই গুটিয়ে দেন মালিঙ্গা-ডি সিলভা-উদানারা। ‘বুড়ো’ মালিঙ্গা ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। ডান-হাতি অফ-স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৩২ রানে ৩ ও পেসার ইসুরু উদানা ৪১ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।
বোলারদের প্রশংসাও করেন করুনারত্নে। বলেন, ‘মালিঙ্গা দারুণ বল করেছে। তার ৪ উইকেট শিকারে আমাদের ম্যাচ জয়ের পথ সহজ হয়েছে। এছাড়া ডি সিলভা ও উদানার বোলিং ছিল দুর্দান্ত।’