ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় বলের আঘাতে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান হাসমতউল্লাহ শহীদি মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক দলের সহায়তা নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এমন ঘটনায় ক্রিকেটারদের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করার দাবি উঠেছে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংলিশ বোলার মার্ক উডের বাউন্সারের বলটি যখন আসে তখন চোখ বন্ধ করে ফেলেন শাহিদি। বলটি তার হেলেমেটে আঘাত হানে। এতে হেলমেটের একাংশ ভেঙে যায় এবং আফগান ব্যাটসম্যান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক দল তাকে মাঠ থেকে নিয়ে যেতে আসলে তাদের ডাকে সাড়া দেননি। বরং ব্যাটিং চালিয়ে গিয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের স্কোর গড়েন। পরে ওই ক্রিকেটার বলেন, তার মাকে আতঙ্কিত না করতেই তিনি চিকিৎসক দলের আহ্বানে সাড়া দেননি।
হেডওয়ের ব্রেইন ইনজুরি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী পিটার ম্যাকক্যাব মনে করেন এ ধরনের ভুল বুঝাবুঝিতে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বলেন, ‘খেলোয়াড়দের উচিৎ দায়িত্বের কারণে ভুল না বুঝে চিকিৎসকদের উপদেশ এবং প্রোটোকল মেনে চলা। অন্যথায় গুরুতর এবং ক্ষেত্রে বিশেষে আজীবনের জন্য ইনজুরির কবলে পড়তে পারেন। এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে খেলোয়াড়দের বাইরের কাউকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক যদি খেলোয়াড়কে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন তাহলে তার উচিৎ ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা। এ বিষয়ে কোন বিতর্ক থাকাই উচিৎ নয়। আমরা জানি, অনেক সময় ইনজুরির উপসর্গ বিলম্বে প্রকাশ পায়। তাই মাথার ইনজুরির ক্ষেত্রে কোন রকম সন্দেহ দেখা দিলেই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) একজন মুখপাত্র বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার কার্যনির্বাহী পরিষদের নেই।
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের দেখভাল করার পুরো দায় সংশ্লিষ্ট দলের। প্রতিটি দলেরই একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক থাকেন। যিনি খেলোয়াড়দের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন।’