মাঠে ও মাঠের বাইরে সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া আফগানিস্তন ক্রিকেট। দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সাম্প্রতিক এক টুইট বার্তায় তোলপার গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, ‘দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টির জন্য দায়ী দলটির প্রধান নির্বাচক।’ তার ওই টুইট বার্তায় দলটির অভ্যন্তরীন কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের দলটি বিশ্বকাপে সর্বশেষ পরাজিত হয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে। ওই ম্যাচে দলটি কোন প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। মঙ্গলবার ওল্ড ট্রাফোর্ডের ম্যাচে ছক্কা হাকানোর রেকর্ড গড়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ান মরগান।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ঠিক আগমুহূর্তে নিয়মিত অধিনায়ক আসগর আফগানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দলীয় নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয় নাইবের হাতে। ওই ঘটনার সমালোচনা করেছিলেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীসহ দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা।
সাবেক প্রধান নির্বাচক দৌলত আহমাদজাইও দলের মধ্যে বিভাজনের জন্য কোচিং স্টাফদের দায়ী করেছিলেন, যেটি ক্ষুব্ধ করেছিল কোচ সিমন্সকে।
বুধবার আফগান কোচ তার টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি এখন বিশ্বকাপের মধ্যভাগে। চেষ্টা করছি দলটি যেন প্রত্যাশিত মানে খেলতে পারে। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষে আমি আফগান জনগনকে জানাবো যে প্রস্তুতিতে বাগরা দেওয়া দৌলত আহমাদজাই আসগর আফগানকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছেন।’
গত সপ্তাহে আরেক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘আফগান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসিবি) চুক্তি বাড়ানোর জন্য আমার যে আবেদনের কথা বলা হয়েছে সেটি সঠিক নয়।’
এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগের রাতে ম্যানচেস্টারের একটি রেস্টুরেন্টে আফগান দলের খেলোয়াড়রা বিবাদে লিপ্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছিল বিবিসি।
টুর্নামেন্টের শুরুতেই আফগান দলটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল। এ সময় হাঁটুর ইনজুরির কারণে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদকে বিশ্বকাপ থেকে প্রত্যাহার করা হলে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
দলের হয়ে তিনি বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচে অংশ নিলেও পরে স্কোয়াড থেকে তাকে সরিয়ে দেয় এসিবি। এ সময় তারা জানায়, শেহজাদের ইনজুরিটি দলের হয়ে খেলার উপযুক্ত নয়। তবে শেহজাদ বলেছিলেন যে, তিনি সুস্থ আছেন এবং কয়েকদিনের বিশ্রামেই তার হাঁটুর সামন্য ওই ইনজুরি ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে এসিবির প্রধান নির্বাহী আসাদুল্লাহ খান ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছেন, ফিট খেলোয়াড়রাই দলে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।