ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তী মাইকেল হোল্ডিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন বিশ্বকাপের ম্যাচে ধারাভাষ্য প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে ‘কণ্ঠ রোধ’ করতে চায় আইসসি। তবে তার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আইসিসি বলেছে, বরং আইসিসি চায় ধারাভাষ্যকাররা নিজেদের পর্যবেক্ষণ, মতামত প্রকাশের সময় যেন নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন।
গত ৬ জুন নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ চলাকালে আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করেন ক্যারিবীয় গ্রেট হোল্ডিং। এ সময় আম্পায়ারিংয়ের মান ‘খুব খারাপ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের জনপ্রিয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী হোল্ডিংয়ের কঠোর মন্তব্যের কারণে আইসিসি তাদের সম্প্রচারক পার্টনারকে একটি চিঠি দিয়ে ৬৫ বছর বয়সী সাবেক এ তারকাকে সমালোচনা থেকে নিবৃত রাখতে বলে।
রিপোর্টে বলা হয়, সাবেক কিংবদন্তী এ পেসার ও বিশেষজ্ঞ টিভি ধারভাষ্যকার ওই চিঠির জবাবে লিখেছেন, তিনি এই ধারা থেকে সরে যেতে রাজি নন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইসিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, কাউকে নিয়ন্ত্রণ করার কোন ইচ্ছে আইসিসি নেই। আইসিসি শুধু অনুরোধ করেছে, ধারাভাষ্য প্রদানের সময় তারা যেন নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন। আইসিসি ভিন্ন পর্যবেক্ষণ চাই বলেই সাবেক খেলোয়াড়দের ধারাভাষ্যকাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বিষয়টির ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে উল্লেখ করে সূত্রটি আরও জানায়, হোল্ডিং তার ধারাভাষ্য দেওয়া অব্যাহত রাখবেন।
ট্রেন্টব্রিজের ওই ম্যাচে ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রিস গেইলকে দুইবার ‘আউট’ দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউতে দু’বারই তিনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুইবার রিভিউ নিয়ে জীবন ফিরে পান গেইল
একবার মিচেল স্টার্কের ডেলিভারিতে নো বলের সুবাদে ফ্রি হিটের সিদ্ধান্ত না দিয়ে উল্টো লেগ বিফোরে গেইলের বিরুদ্ধে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। দ্বিতীয়বার ম্যাচের শেষদিকে ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারও লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়ে টিকে যান।
ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যাওয়ার পর হোল্ডার ঘটনাটিকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, ‘আমার মনে হয় এটি আম্পায়ারের ইচ্ছাকৃত ভুল। আমি অফিসিয়াল পার্ট হতে চাই না। এটিকে এক কথায় বলা যায় বিদ্রুপাত্মক। এটিকে এছাড়া আর কি বলা যায়, জানি না। তবে এটি একটি হাস্যকর অবস্থা। তাদের সবাই আমাদের বিপক্ষে। এ কারণেই আমাদের রিভউ নিতে হয়েছে। তবে আমি মনে করি এটা খেলারই অংশ।’