বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের চারটি ম্যাচ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ১টিতে জয় পেয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়াতে পারেনি।
এদিকে নিজেদের খেলা প্রথম তিন ম্যাচে রান পাননি টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। প্রত্যাশিত রান না পাওয়ায় নিজের অত্যধিক প্রত্যাশাকেই দায়ী করছেন তামিম ইকবাল।
২০১৫ সালের গোড়া থেকে টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তামিম ইকবাল। তবে এবারের বিশ্বকাপে রান পাচ্ছেন না তিনি। প্রথম তিনম্যাচে তামিমের রান ১৬, ২৪ ও ১৯। নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবিবেচকের মত পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপে নিজের রান না পাওয়ার বিষয়ে ক্রিকইনফোকে তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি নিজেই নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করছি। সত্যি কথা বলতে, এর সঙ্গে অনুশীলনের কোনো সম্পর্কই নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আমার কিছু করার ছিল না। দুর্দান্ত একটা ডেলিভারিতে আউট হয়েছিলাম।’
তামিম বলেন, ‘পরের খেলা দু’টোয় আমার শট নির্বাচনে ত্রুটি ছিল, এটা আমি মানছি। তবে আমার ওই দুটো ইনিংস যদি আবার দেখেন তাহলে দেখবেন যে গোটা ইনিংসে ওই আউট হওয়ার বলটা ছাড়া কিন্তু আর কোনও ভুল করিনি।’
টাইগার ওপেনার বলেন, ‘ক্রিকেট খেলায় এগুলো মেনে নিতেই হবে। এ ভুলগুলোর থেকেই আমি শিক্ষা নিচ্ছি, যাতে পরের খেলাগুলোয় বড় রান করতে পারি। বিশ্বের সবচেয়ে ভালো কিছু বোলিংয়ের বিরুদ্ধে আমার বড় স্কোর আছে, তাই আবার রান না করতে পারার কোনও কারণ নেই। কিন্তু আমরা যেমন চাই, জীবন তো সবসময় সেই পথে চলে না।’
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম রূপকার ছিলেন তামিম ইকবাল। ঐ ম্যাচে তিনি ৫১ রান করেছিলেন।
তামিম বলেন, ‘ক্রিকেটে তো আর যথেষ্ট বলে কিছু হয় না। যতই আপনি হাজার হাজার রান করেন দু-তিন মাসের বেশি কেউ মনে রাখবে না। এখন কী করতে পারছি, সেটাই আসল। আবার ক্রিকেটার হিসেবে এগিয়ে যেতে হলে আগে কী করেছি সেটাও তো পুরোপুরি ভুলে যাওয়া চলে না। চেষ্টা করছি প্রাণপন, দেখা যাক পরের ম্যাচগুলোয় কী হয়।’