দ্বাদশ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেও পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ।আজ (শনিবার) স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা। এ ম্যাচেও জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বলেন, বিশ্বকাপের মত জায়গায় এসে ম্যাচ জয়ের বিকল্প ভাবার সুযোগ নাই। আমাদের যদি সেমিফাইনালে যেতে হয়, তবে আমাদের সবগুলো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো শেষ ম্যাচটা জিতলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। তবে আমার প্রথম তিনটা ম্যাচ খেলছি, এই কন্ডিশনের সাথে যারা সবচেয়ে বেশি মানানসই তাদের সাথে। তাই কাজটা কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করব।
বৃষ্টির কারণে মাঠে অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। বৃষ্টি হতে পারে খেলার সময়ও। ফলে বৃষ্টিকে মাথায় রেখে ইংল্যান্ড বাড়তি পেসার নিয়ে পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশের পরিকল্পনায় পেস না-কি স্পিন, কি থাকবে তা স্পষ্ট করেননি মাশরাফি।
টাইগার অধিনায়ক বলেন, ২০১৭ সালে এখানে যখন খেলেছিলাম, আমাদের স্পিনাররা বড় ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ৪০ ওভারের পরের এসে। এখানে আমরা অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি ভারতের বিপক্ষে তখনও স্পিন ভালো ছিল। ইংল্যান্ডের পরিকল্পনাই হলো তারা বড় রান করবে। তারা সাফল্য পেলে অনেক সমস্যা হবে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা ঠিক ভাবে রাখতে পারি। তাদের উইকেট তুলে নিতে পারলে আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারব। শেষ দুই ম্যাচে আমরা যা করেছি, সেভাবে করব। আর চেষ্টা করতে হবে সেরা পরিকল্পনা করে মাঠে নামা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। তবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ম্যাচ জয় সম্ভব বলে মনে করেন মাশরাফি, খুবই স্বাভাবিক তারা নিজেদের ফেভারিট ভাবছে। তারা ভাবছে এ বছর ইংল্যান্ডই ট্রফি নেবে। তারা এখন সেরা দল। তাদের সেরা ভাবাটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে এর মানে এই না, আমরা ছোটভাবে মাঠে নামবো। আমরা জানি, সবকিছু ঠিকঠাক করতে পারলে আমরা এই ম্যাচ জিততে পারি। টুর্নামেন্টের সেরা দলের সাথে খেলতে নামছি। আমরা ওদের সাথে পারব না তা ভাবছি না।
গত চার বছর ধরে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। এ ম্যাচেও বাংলাদেশকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবে ইংলিশরা। তবে নিজেদের নিয়ে সর্তক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মাশরাফি।
বলেন, খুবই নিশ্চিত যে, তারা শক্তভাবে আমাদের ওপর আক্রমণ করবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। এটা অন্যান্য বড় দলের সাথে করে থাকে। আমাদের সাথে আরও বেশি করার চেষ্টা করবে। শারীরিক ভাষা দিয়ে বলেন, স্কিল দিয়ে বলেন, তাদের পরিকল্পনাগুলো আটকানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইংল্যান্ডের সাথে বেশি আক্রমণ করতে গেলে ক্ষতি হওয়ার অবস্থা তৈরি হতে পারে। কারণ, তারা গেল চার বছর ধরে আক্রমণাত্মকভাবেই খেলে যাচ্ছে। এখানে ৩০০ রান করলেও ইংল্যান্ডের সুযোগ থাকবে। তারপরও আমরা দ্রুত ১/২ উইকেট তুলে নিতে পারলে তাদের চেপে ধরতে পারব। যেটাই হোক ইংল্যান্ড অ্যাটাক করবে, আমাদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।