পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে নিজেদের তুলে ধরতে পারছে না দল দুটি। দুটি দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং লজ্জায় ডুবিয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৬ রানে অলআউট হলো কোচ হাথুরু সিংহের শ্রীলঙ্কা। আর শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো নিউজিল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এত সহজে, এত বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করার চিন্তাও করেনি নিউজিল্যান্ড। অথচ বিশ্বকাপের মঞ্চে শ্রীলঙ্কাকে পাত্তা না দিয়ে হেসে খেলেই হারলো দলটি।
শনিবার (১ জুন) টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৬ রানেই অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য ১৩৭ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে মাত্র ১৬.১ ওভারে ১৩৭ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।
জয়ের জন্য মাত্র ১৩৭ রানের টার্গেট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের জয়টা হাতে মুঠোই ছিল। তবে দলটি চেয়েছিল সর্বোচ্চ উইকেট ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে। শেষ পর্যন্ত সেটাই করেছে। দুই নির্ভরযোগ্য ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর কলিন মুনরোকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে কোন উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি।
দুই ওপেনার মিলেই টার্গেট ১৩৭ রান করেন। গাপটিল ৭৩ রান আর মুনরো ৫৮ রানে অপারাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। ৫১ বলে ৮টি চার আর ২টি চক্কায় সাজানো ছিল গাপটিলের ইনিংসটি। মুনরোর ৫৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪৭ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কায়।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ম্যাট হেনরি ও লোকি ফার্গুসনের বোলিং তান্ডবে মাত্র ১৩৬ রানেই শেষ শ্রীলঙ্কার ইনিংস। দলটির ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ২৯.২ ওভার। মাত্র তিন ব্যাটসম্যানর ডাবল ফিগারে রান করতে পেরেছেন।
ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ৪ রানেই শ্রীলঙ্কার হারায় প্রথম উইকেট। হেনরির বলে এলবিডব্লু হয়ে ৪ রানে ফিরে যান লাহিরু থিরিমান্নে। এর পর হেনরির বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ২৯ রান করা কুশল পেরেরা। ব্যাট করতে নেমে কূশল মেন্ডিস আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ শূন্য রানে আউট হলেও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৪ রানে আর জীবন মেন্ডিস ১ রান করে আউট হন।
টিকে থাকার চেষ্টা করে ফেরেন থিসারা পেরেরাও। ২৭ রানে তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। দলীয় ১১৪ রানে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফেরেন ইসুরু উদানাও। তাকে ফেরান জেমস নিশাম। ৭ রানে সুরঙ্গা লাকমলকে ফিরিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। সবশেষ লাসিথ মালিঙ্গা ফিরে গেলে শ্রীলঙ্কার স্কোর থামে ১৩৬ রানে।
২৩ বলে ২৭ রান করে থিসারা পেরেরা ফিরে গেলে এক প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেয়া অধিনায়ক করুণারত্নে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। ৮৪ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এটাই দলের সর্বোচ্চ স্কোর।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে হেনরি ও ফার্গুসন নেন তিনটি করে উইকেট। একটি করে নেন গ্রান্ডহোম, বোল্ট, নিশাম ও স্যান্টনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ১৩৬/১০ (২৯.২ ওভার)
নিউজিল্যান্ড : ১৩৭/০ (১৬. ওভার)
ফল : নিউজিল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।