বছর মাস দিনের হিসেব পেরিয়ে এখন কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে ১২তম ক্রিকেট বিশ্বকাপের। আগামী দেড়মাস ১০ দেশ লড়বে ক্রিকেট দুনিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে।
১২তম আসরে ১২টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ৪৮টি ম্যাচ। ক্রিকেটের তীর্থভূমি ইংল্যান্ডে আসরের শুরুটা হচ্ছে টেমস নদীর পাড়ের শহর লন্ডনে। ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতার মিশেলে এবারের আসরকে জাকজমপূর্ণভাবে সাজাতে কোন কমতি রাখেনি ইংলিশরা।
প্রথমবারের মত ক্রিকেটের কোন আসরের উদ্বোধন হচ্ছে লন্ডনরে আইকনিক স্থাপনা দ্য মলে। এটি মূলত লাল গালিচায় মোড়া এবং ইংল্যান্ডের রাণী এলিজাবেথের বাসভবন বাকিংহাম প্যালেসের সামনের রাস্তা। যা কয়েক শতাব্দি ধরে ইংলিশদের এতিহ্য ও সাংস্কৃতি ধারণ বহন করে আসছে।
উদ্বোধনী ম্যাচের ভেন্যু ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড হচ্ছে ইংল্যান্ডের প্রথম স্টেডিয়াম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় স্টেডিয়াম। ১৪ জুলাই ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে লর্ডসে। ওভালেই ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী ম্যাচের জন্য বর্ণিল রঙে সেজেছে ওভাল। লন্ডনজুড়ে বিশ্বকাপের তেমন উত্তাপ না পাওয়া গেলেও ওভালে রঙ বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন আর সাজসজ্জা দেখে অন্তত মনে হবে, এ শহরে বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হচ্ছে!
ইংল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও বেশ রোমাঞ্চিত ইংল্যান্ডে মাঠে খেলা দেখার সুযোগ পেয়ে। তবে চাহিদার তুলনায় সামান্য টিকিট থাকায় টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে এখানকার বাংলা কমিউনিটিতে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি দাম দিয়েও মিলছে না টিকিট নামক ‘সোনার হরিণ’।
তবে যারা টিকিট পেয়েছন তাদের মধ্যে শুধু বাঙালি নয়, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কান এমনকি অনেক ইংলিশ ক্রিকেট প্রেমীও প্রস্তুত হচ্ছেন মাঠে বসে নিজ দলের সমর্থনে গলা ফাটাতে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট মানে ঘটনা অঘটন, হাসি কান্না, সাসপেন্স, রোমান্স, দম বন্ধ করা উত্তেজনা! ক্রিকেট যারা ভালোবাসেন, তাদের কাছে বিশ্বকাপ চার বছরের অপেক্ষা, প্রিয় দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে আশায় বুক বাঁধা। ক্রিকেট ভক্তদের সেই চাওয়া পাওয়ায় এবারের বিশ্বকাপ কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে সেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।