প্রায় পাঁচ মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে ইনজুরিতে পড়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে এর আগে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টুর্নামেন্ট জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।
ত্রিদেশীয় সিরিজে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ২টি ফিফটির পাশাপাশি বল হাতেও বেশ ভালো করেছন। যদিও ফের চোটে পড়ায় ফাইনালে খেলা হয়নি। কিন্তু আগের তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ছিল। আর এর ফলেই ওয়ানডেতে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে ফিরেছেন সাকিব।
কার্ডিফে রোববার (২৬ মে) পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ার পর আইসিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টাইগার কোট রোডস। সেখানেই সাকিবের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান তিনি। কথা বলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়েও।
রোডস বলেন, ‘সে (সাকিব) ঠিক আছে। সে শারীরিকভাবে দারুণ অবস্থায় আছে। আয়ারল্যান্ডে হালকা সমস্যা ছিল কিন্তু সে কাটিয়ে উঠেছে এবং সে এখন উদগ্রীব।’
পরিত্যক্ত হওয়ার পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশ্য সাকিবের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। টাইগার কোচ বলেন, ‘সে দারুণ এক টুর্নামেন্টের অপেক্ষায় আছে। আমি মনে করি তার এখনও কিছু প্রমাণ করা বাকি আছে এবং সেও হয়ত তাই মনে করে। দেখে মনে হয় সে হয়ত ভুলে গেছে যে, সে ফের ওয়ানডে ক্রিকেটের এক নাম্বার অলরাউন্ডার হয়েছে এবং আমরা মনে করি সে এটারই যোগ্য। কিন্তু বাকি সবাই যেন তা বিশ্বাস করে সেটা নিশ্চিত করতে নিজেকে প্রমাণ করা দরকার।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম পাকিস্তানের বিপক্ষে সে (মাহমুদউল্লাহ) বোলিং করবে। কিন্তু তা তো হলো না। তবে আশা করি, বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তার বোলিং সার্ভিসটা পাব। দলের ভারসাম্যের জন্য এটা জরুরি। তবে ভালো দিক হচ্ছে, মাহমুদউল্লাহ এমন এক খেলোয়াড় যার বোলিংয়ে ভালো করতে অনেক বেশি অনুশীলন করতে হয় না।’
বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দলের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। দলে পাঁচজন খেলোয়াড় আছেন যাদের ১৭৫ কিংবা তার বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশের জন্য এটি বাড়তি সুবিধা কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে রোডস বলেন, ‘মানুষ বলে বিশ্বকাপ জিততে অভিজ্ঞতা লাগে। আমি খুশি কারণ আমাদের সেই অভিজ্ঞতার সম্পদ আছে। আমি তাদের কথা শুনি কারণ এত অভিজ্ঞতার সঙ্গে না থেকে উপায় আছে?’