বিশ্বকাপ ক্রিকেট দরজায় কড়া নড়ছে। অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে টিকিট কেনার তোরজোর। বিশ্বকাপকে সামনে ২ কোটি টাকার টিকিট কিনার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের জন্য আইসিসি থেকে ১০০টি করে সৌজন্য টিকিট পাবে বিসিবি। লিগ পর্বের ৯ ম্যাচের জন্য পাওয়া যাবে ৯০০ টিকিট। মূলত খেলোয়াড়দের জন্য এ টিকিট দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে এ থেকে ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচপ্রতি ২টি করে টিকিট বরাদ্দ করেছে বিসিবি। বাকি ৭০টি টিকিট নিজেদের কাছে রেখে দেবে। ৯ ম্যাচে ৬৩০টি টিকিট থাকবে হাতে। এখান থেকে পরিচালকদের ম্যাচপ্রতি দেয়া হবে ২টি করে টিকিট।
২৫ জন পরিচালকের জন্য ৯ ম্যাচে বরাদ্দ থাকবে ৪৫০টি টিকিট। স্বাভাবিকভাবেই অবশিষ্ট ১৮০টি টিকিট দিয়ে বিশাল চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্টেকহোল্ডারদের কিছু টিকিট দিতে হবে। আমরা আইসিসির কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট পাই। তবে তা দিয়ে চাহিদা মেটে না। সবার ইচ্ছা পূরণ করতে কিছু টিকিট কিনতে হচ্ছে। হাতে পাওয়ার পরই এ সংখ্যা জানানো হবে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার ক্লাব ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা মেটাতে টিকিট কিনতে হচ্ছে। পরিচালকরাও বোর্ডের কাছ থেকে তা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ঈদ সামনে থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই টিকিট কিনতে কয়েক কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে।
কত টাকার টিকিট কেনা হচ্ছে? জবাবে বিসিবি সিইও বলেন, টিকিট হাতে পাওয়ার পর টাকার অংক জানাতে পারবো। খুব বেশি খরচ হবে না। আমরা আইসিসির কাছে যে পরিমাণ টিকিট চেয়েছি তা নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ অন্য বোর্ডগুলোও টিকিট কিনবে।
৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ টিকিট চেয়ে 'রিকুজিশন' দেয়ার সুযোগ রেখেছে আইসিসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি এক পরিচালক জানান, ৩ কোটি টাকা সমমূল্যেরই টিকিট চাওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হয়তো ২ কোটি টাকার পাওয়া যাবে।
বিশ্বকাপের টিকিট কিনতে আইসিসির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টের পিএস তৌহিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, কেনা টিকিটের ১০ ভাগ রাখবে বিসিবি। সেগুলো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেয়া হতে পারে। বাকি ৯০ ভাগ কেনে নেবেন বোর্ড পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কেবল টাকা পরিশোধের পরই টিকিট দেয়া হবে।