যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানের ক্রিকেট যে এতো দ্রুত বহুদূর এগিয়ে যাবে সেটা কে জানতো। শুধু টি-২০ নয়, এখন ওয়ানডেতেও দুর্দান্ত খেলছে নবি-রশিদের দল। দুর্দান্ত এমন পারফম্যান্সের উপহার হিসেবে তার পেয়েছে এবারের আইসিসি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ।
এমন সাফল্যের পেছনের নায়ক আফগান কোচ ফিল সিমন্সকে হারাচ্ছে রশিদরা। বিশ্বকাপের পর আর তাকে দেখা যাবে না আফগানিস্থানের দায়িত্বে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তান শিবিরে কোচ হিসেবে যোগদান করেছিলেন তিনি। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে অর্থ্যাৎ বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন পর্যন্ত শেষ হবে চুক্তির মেয়াদ। সেটা আর বাড়াতে চান না সিমন্স।
ফিল সিমন্স বলেন ‘আমি আফগানিস্তান ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছি এবং এসিবিকে আমি আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি। আমি আর চুক্তি নবায়ন করছি না। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে আমার কোচিং মেয়াদ শেষ হচ্ছে, এরপরে আমি অন্য কোথাও দেখব। আমি ঠিক ১৮ মাসের জন্য চুক্তি করেছিলাম। আমার মনে হয় এই সময়টায় আমি অনেক কিছু করেছি। এখন আমার অন্য কোথাও সরে যাওয়ার সময় হয়েছে।’
সিমন্স যোগ দেওয়ার পর বিশ্বকাপে খেলাই মূল লক্ষ্য ছিল আফগানদের। বাছাইপর্ব পেরিয়ে দাপটের সঙ্গেই বিশ্বকাপে নাম লেখায় আফগানিস্তান। নিজের সফলতার কথা বলার সময় সিমন্স আরও জানান, ‘আমি যখন যোগ দিয়েছিলাম তখন এসিবির লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে খেলা। আমি সবসময় চেয়েছি, আমি যখন দলে যোগদান করেছি তখনকার চাইতে যেন যখন কোচিং পদ ছাড়ছি তখনকার অবস্থা ভালো থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি, যেভাবে ম্যাচ নিয়ে ভেবেছি, যেভাবে অন্য দলগুলোকে হারিয়েছি সেটা দারুণ। ক্রিকেটারদের সব দিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি আমি।’
৫৬ বছর বয়সী ফিল সিমন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলের হয়ে ৪২টি টেস্ট এবং ১৩৮টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। তিনি সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন। ফিল সিমন্স আফগানিস্তান ছাড়াও এর আগে জিম্ববুয়ে ও আয়ারল্যান্ড দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।