ক্যাপ্টেন মাশরাফি বলে কথা। সবার কাছেই প্রিয়। এই ভালোবাসার পাওয়ার পেছনে কারণ হলো অন্যদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা। তাই দেশে ফিরে প্রথম বারের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সেই কাঙ্খিত ট্রফি নিয়ে একা ছবি তুলতে রাজি হয়নি মাশরাফি।
দেশে ক্রিকেটাররা ফিরলে তবেই তিনি সকলকে নিয়ে ছবি তুলবেন বলে জানিয়েছন দেশ সেরা এ অধিনায়ক। ছুটি কাটাতে শনিবার রাত ১১টা ২৬ এর দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান মাশরাফিসহ ৪ ক্রিকেটার।
মাশরাফির সাথে তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলি রাব্বি ও নাইম হাসান দেশে ফিরেছেন। তবে ফরহাদ রেজা মাশরাফিদের সাথে আসেননি। ভিসা জটিলতায় অন্য আরেকটি বিমানে করে তিনি দেশে ফিরছেন। মাশরাফি বাদে তারা চারজনই বাংলাদেশের ঘোষিত বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে রয়েছেন। মাশরাফিদের সাথে ফিরেছেন প্রধান নির্বচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
এসময় ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বিমান বন্দরে এসে দেশে ফেরত আসা ক্রিকেটারদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
মাশরাফি দেশের ফিরলেও তাকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে আবার দেশ ছাড়তে হবে আগামী বুধবার (২২ মে)। কারণ, ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) লন্ডনে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দশ দেশের অধিনায়কদের নিয়ে আইসিসির রয়েছে বিশেষ কয়েকটি আয়োজন।
বাংলাদেশ দলের ১৩ ক্রিকেটার লন্ডরে পথে রওয়ানা দিলেও মাশরাফির মতো পরিবারকে সময় দেবেন তামিম ইকবাল। মাশরাফির সাথে একই ফ্লাইটে দুবাই নামেন তামিম। সেখান থেকে মাশরাফি দেশে চলে আসলেও তামিম থেকে যান। বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন তামিমেমর পরিবার।
বিমান বন্দরে ফিরে মাশরাফি সংবাদ মাধ্যমের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন কথাও বলেন নি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘যারা খেলেছেন তাদেরও উচিত এখানে বসে কথা বলার। আমি ছুটি কাটাতে এসেছি। তাই আমার উচিত হবে না তাদের রেখে গণমাধ্যমে কথা বলার। যদি টুর্নামেন্ট নিয়ে কথা বলতে চাই, তাহলে পুরো দলকে সাথে নিয়ে কথা বলা উচিত।’’
তবে বিশ্বাকাপের পর কোন এক সময় বিসিবি ট্রাফি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে পারে বলে জানা গেছে।