ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে নেই ইমরুল কায়েস। আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ইয়াসির রাব্বি-তাসকিন আহমেদদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদি কেউ ইনজুরিতে পড়েন কিংবা দলে পরিবর্তন আনতে হয় সেই চিন্তায়। ইমরুল কায়েস সেখানেও নেই। তারপরও বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ওপেনার আশায় আছে। যদি আবার ডাক পড়ে। আর তাই নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন তিনি।
ইমরুলের ভাগ্য আবার তাকে বড় আসরে টেনে নিয়ে যায়। ২০১৫ বিশ্বকাপে ওপেনার আনামুল হকের ইনজুরিতে দলে ডাক পান তিনি। সর্বশেষ এশিয়া কাপে তামিমের ইনজুরিতে দলে বিশেষভাবে ডেকে নেওয়া হয় তাকে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও যদি তেমন কিছু হয়? ইমরুলকেই যে ডাকতে হবে।
ঘরোয়া লিগ ডিপিএলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ৩০ জন সেরা পারফরমারের একটি এলিট দল বেছে নিয়েছে। ভালো পারফর্ম না করলেও ইমরুল আসেন ওই এলিটদের দলে। তাদের বিসিবি বলেছে, বিশ্বকাপে যদি ডাক পড়ে তবে তাদের থেকে কাউকে বেছে নেওয়া হবে। তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সেভাবে।
এ নিয়ে ইমরুল কায়েস বলেন, 'ক্যাম্পটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। আমি নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারছি। যদি দরকার পড়ে। সুযোগ আসে দলের জন্য আমি যে কোন জায়গায় যে কোন কন্ডিশনে খেলতে প্রস্তুত আছি।' হুট করে ডাক আসলে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা, প্রশ্নে ইমরুল জানান, হুট করে ডাক পেলে ভালো করা যে কারো জন্যই কঠিন। তবে এই ক্যাম্প তাদের সহায়তা করছে।'
এছাড়া ক্লোজ কলে দলের সঙ্গে যোগ দিতে গেলে ফিটনেস একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এলিটদের ওই ক্যাম্প তাই সবারই কাজে দিচ্ছে বলে মত ইমরুলের, 'আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া ক্রিকেটের ফিটনেস দু'রকম। যারা ক্যাম্পে আছে তারা তাই ভাগ্যবান। কারণ কেউ যদি বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়েন তবে এখান থেকেই দলে ডাকা হবে।'
ইমরুল কায়েস ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই জাতীয় দলে যাওয়া-আসার মধ্যে আছেন। তামিমের সঙ্গে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে পরে কিছু সময় নিয়মিত খেলেছেন তিনি। এরপর আর দলে নিয়মিত নন এই ওপেনার। এ নিয়ে তিনি বলেন, 'দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও অনেক কিছু শেখা যায়। আমি এটা খুব ভালো জানি। দলে থাকা না থাকা তাই আমাকে উৎসাহ কিংবা হতাশা দেয় না।'