ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশি দূর এগোতে দেয়নি বাংলাদেশ। শাই হোপ ও জেসন হোল্ডারের হাফসেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারে উইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মাশরাফি মুর্তজা। তার তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে সুনীল অ্যামব্রিসকে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান। ১৯ বলে চারটি চারে ২৩ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। হোপের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে ৩৭ রানে।
এরপর দশম ওভারে মাশরাফির তৃতীয় বলে ড্যারেন ব্রাভোর দুর্বল শট পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারে বল হাতে নেন এই স্পিনার এবং তৃতীয় বলে ব্রাভোকে ৬ রানে এলবিডাব্লিউ করেন।
মোস্তাফিজ তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রোস্টন চেজকে ১৯ রানে ফেরান। মাহমুদউল্লাহ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ ধরেন। জোনাথান কার্টারকে নিজের চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয় শিকার বানান মোস্তাফিজ। ৩ রানে এলবিডাব্লিউ হন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান।
৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন হোপ। হাফসেঞ্চুরি করার পথে হোল্ডারের সঙ্গে শক্ত জুটি গড়েন এই ওপেনার। কিন্তু তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। অধিনায়কের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়ে মাশরাফির শিকার হন হোপ। ১০৮ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৮৭ রান করেন তিনি। পরের ওভারে মাশরাফি একইভাবে আউট করেন হোল্ডারকে। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ৬২ রানে ফিরে যান।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় উইন্ডিজ। সাকিব আল হাসান তার শেষ ওভারে পান প্রথম উইকেট। ৭ রানে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে এলবিডাব্লিউ করেন বাঁহাতি স্পিনার।
মোস্তাফিজ ৪৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। অ্যাশলে নার্স ১৪ রানে সাব্বির রহমানের ক্যাচ হন দ্বিতীয় বলে। তিন বল পর তার চতুর্থ শিকার হন রেমন রেইফার। ৭ রানে এলবিডাব্লিউ হন তিনি।
৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং করেন। তিন উইকেট নেন মাশরাফি। অভিষেক ওয়ানডেতে ৯ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন আবু জায়েদ রাহী।