১৯৮৮ সালের ৯ মে বগুড়ার খুব সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুশফিকুর রহিম নামের ছেলেটি। না, নামটি আগে থেকেই দেওয়া ছিল না। জন্মের পরেই ঠিক করা হয়। দেখতে খর্বাকৃতির ছেলেটি ছোট থেকেই ছিলো খুবই দুরন্ত। সেই দুরন্তপনা দিয়েই আজ তিনি মিস্টার ডিপেন্ডেবল। কেউবা আবার জার্সি নাম্বার অনুসারে ডাকে মিস্টার ফিফটিন নামে।
জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম দেখতে দেখতে জীবনের ৩০ বছর পেছনে ফেলে আজ পা দিয়েছেন ৩১ বছরে। আজ তার জন্মদিন। আমাদের সময়.কমের পক্ষ থেকে তাই বলছি, ‘শুভ জন্মদিন মি.ফিফটিন।’
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ২০০৫ সালে। ১৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে ওই সফরের প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্সের বিপক্ষে ৬৩ রানের ইনিংস এবং নটিংহ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫* রানের ইনিংস খেলে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করেন। সুযোগ পান লর্ডসে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে। সেই থেকে শুরু হয় ইতিহাসের।
কালের পরিক্রমায় দ্রুতই নিজেকে জাতীয় দলের ‘অটো চয়েজ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন মুশফিক। ২০১১ সালের এশিয়া কাপে প্রথমবার অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকবার অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, আবার হারাতেও হয়েছে বোর্ড এবং টিম ম্যানেজম্যান্টের বিপক্ষে মিডিয়ার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এছাড়াও তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবতাবিরোধী ঘটনার বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করেন। মাঠে ‘মি. কুল’ আর বাইরে মুশফিকের এই প্রতিবাদী চরিত্রই তার ট্রেডমার্ক।
শুভ জন্মদিন মি. ডিপেন্ডেবল, মি. ফিফটিন কিংবা মি.কুল। বাংলাদেশ জাতীয় দল আরও অনেক বছর মুশফিকের মাঝে নির্ভরতা খুঁজে পাক এটাই সবার প্রত্যাশা।