অংশগ্রহণকারী দশ দলের স্কোয়াড ঘোষণা করার পর থেকে বিশ্বকাপের উত্তেজনা বেড়ে গেছে। প্রতিটি দলই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রনে যথার্থ ভারসাম্য আনতে। সেখানে চিত্তাকর্ষক অনেক মেধাবী তরুণ খেলোয়াড় যেমন আছে ঠিক তেমনি কতিপয় বর্ষীয়ান খেলোয়াড়ও আছেন যারা এখনো এককভাবেই নিজ নিজ দলকে জয় এনে দিতে পারেন।
যদিও ওয়ানডে এবং টি-২০ ক্রিকেট তরুণদের খেলা হিসেবে পরিচিত। তথাপি মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং ইমরান তাহিরের বর্ষীয়ান খেলোয়াড়রা বার বার দেখিয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়াও গত কয়েক বছরে দেখা ফিটনেস লেবেলের উন্নতি ঘটিয়ে একজন ৩৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ২৫ বছরের কারো বিপক্ষে লড়াই করে দলে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার জন্য সত্যিকারার্থেই বয়স কোন পরিমাপক নয়।
প্রতিটি দলের বয়স্ক ও কম বয়সী খেলোয়াড়ের তালিকা দেয়া হলো।
শ্রীলংকা
সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়-জীবন মেন্ডিজ-৩৬ বছর
শ্রীলংকা বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া অনেক বিস্ময়ের মধ্যে একটি জীবন মেন্ডিজ। জাতীয় দলের হয়ে মেন্ডিজ সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালের জানুয়ারীতে। তবে দেশটির ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ব্যাট-বল উভয় বিভাগে ভাল পারফরমেন্সের সুবাদে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৫৪টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাট হাতে ৬০৪ রান করার পাশাপাশি ২৮ উইকেট শিকার করেছেন। মেন্ডিজ চাইবেন তার রেকর্ড সমৃদ্ধ করতে এবং ব্যাট-বল উভয় বিভাগেই দলের জন্য অবদান রাখতে।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়-আবিস্কা ফার্নান্দো-২১ বছর
আবিস্কা ফার্নান্দো এ পর্যন্ত শীলংকার হয়ে ৫টি ওয়ানডে ম্যাচে মাত্র ৭১ রান করেছেন। তবে তরুণ এ খেলোয়াড়ের মধ্যে যথেষ্ট মেধা রয়েছে এবং লংকান নির্বাচকরা এ মেগা ইভেন্টে এক্সপোজের সুযোগ দিতে তাকে নিয়ে একটা জুয়া খেলেছেন।
বাংলাদেশ
সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড়-মাশরাফি বিন মর্তুজা-বয়স ৩৫ বছর
মাশরাফি হবেন ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনার ভার বহনকারী। পেস এবং আগ্রাসী একজন উঠতি ফাস্ট বোলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন মাশরাফি। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে তার গতি কমে গেছে এবং গতির চেয়ে একিউরিসির ওপড় বেশি নির্ভর করেছেন।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে চমৎকার নৈপুণ্য দেখিয়ে আসছেন তিনি। মাশরাফির নেতৃত্বেই ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়-মেহেদি হাসান মিরাজ-২১ বছর।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে উঠতি তারকাদের মধ্যে একজন মেহেদি হাসান মিরাজ। তরুণ এ অফ স্পিনার এ পর্যন্ত ২২টি ওয়ানডে খেলেছেন এবং নিজের টেম্পারমেন্ট দিয়ে সবাইকে খুশি করেছেন।
পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করার কঠিন দায়িত্ব পালন ছাড়াও লোয়ার অর্ডারে মহামূল্যবান রানও করেছেন মিরাজ। বিশ্বকাপে এ তরুণ তুর্কিও কাছ থেকে বড় কিছু প্রত্যাশা থাকবে।
আফগানিস্তান
সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়-মোহাম্মদ নবী-৩৪ বছর
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তান ক্রিকেটের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মোহাম্মদ নবী। বল হাতে খুবই কৃপন এ অলরাউন্ডার মিডল অড কখনো কখনো ব্যাটসম্যানদের টুটি চেপে ধরতে পারদর্শী।
ব্যাট হাতেও ভাল করে আসছেন নবী। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝলক দেখাতে দারুণ পারঙ্গম। বিভিন্ন দেশে টি-২০ লীগে খেলার অভিজ্ঞতা তাকে বিশ্বকাপে চাপ সামলাতে সাহায্য করবে।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়-মুজিব উর রহমান-১৮ বছর
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই অর্জন করেছেন মুজিব উর রহমান। তরুণ এ আফগান ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-২০ লীগে খেলেছেন ও দলের হয়ে ভাল পারফরমেন্স করেছেন।
নিজের কৌশল দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক রথি-মহারথিকে ঘায়েল করেছেন এ স্পিনার। তিনি এবং সতীর্থ রশিদ খান প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য বড় হুমকি হবেন।
পাকিস্তান
সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়-মোহাম্মদ হাফিজ-৩৮ বছর
পাকিস্তানের ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করবেন মোহাম্মদ হাাফিজ। দীর্ঘ দিন যাবত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ২০০৩ সালে অভিষেক হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ২০৪টি ওয়ানডে খেলেছেন এ ‘বুড়া’।
ব্যাটিং লাইনআপের সব পজিশনে খেললেও গত কিছু দিন যাব মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করছেন তিনি। বোলিং এ্যাকশনে ক্রটি থাকার পাকিস্তান এখন আর বল হাতে তাকে ব্যবহার করতে পারছে না।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়-শাহিন আফ্রিদি-১৯ বছর
মোহাম্মদ আমিরের পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া সবচেয়ে বড় কারণের একটি হচ্ছে শাহিন আফ্রিদির মত মেধাবী তরুণ ফাস্ট বোলারের উত্থান।
পাকিস্তানে মেধাবী ফাস্ট বোলারের অভাব কখনোই ছিল না। ১০ ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে আফ্রিদি এ পর্যন্ত ১৯ উইকেট শিকার করেছেন। উচ্চতা এবং একজন বাঁ-হাতি হওয়ায় এ্যাঙ্গেলের কারণে তাকে মোকাবেলা করা অনেক ব্যাটসম্যানের জন্যই কঠিন।
নিউজিল্যান্ড
সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়-রস টেইলর-৩৫ বছর
২০১৯ আসরে নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেরতে নামবেন রস টেইলর। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে কিউই ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদন্ডে পরিণত হয়েছেন এ তারকা। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী হয়েই এ মেগা ইভেন্ট শুরু করবেন টেইলর।
২০১৮ সালে খেলা ১১ ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৯১.২৯। ২০১৯ সালটাও একই ভাবে শুরু করেছেন তিনি। এ বছর তিনি অসাধারন ৭৪ দশমিক ১৩ গড়ে এ পর্যন্ত ৫৯৩ রান করেছেন টেইলর। তার সাম্প্রতিক ফর্ম তাকে ব্ল্যাক ক্যাপসদের জন্য গুরুত্বপুর্ন কেলোয়াড়ে পরিনত করেছে।
সকচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়- ইশ সোধি-২৬ বছর
নিউজিল্যান্ড দলের সবচেয়ে কম ২৬ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে নির্বাচকরা স্কোয়াড নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেননি।
দলের সবচেয়ে কম বয়সী এ খেলোয়াড় প্রথমবার বিশ্বকাপ খেরতে যাচ্ছেন। সিমিত আকারে পাওয়া সুযোগগুলোর পুর্ন ব্যবহার করেছেন ইশ সোধি। ভারতে জন্মগ্রহণকারী এ স্পিনার বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ আসরে খেলার সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবে।
ইংল্যান্ড
সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়-লিয়াম প্লাংকেট-৩৪ বছর
২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় লিয়াম প্লাংকেটের। দুই বছর আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকার পর ২০০৭ সালে চূড়ান্তভাবে দল থেকে বাদ পড়েন। তারপর দুই বার দলে ফিরলেও একনো সত্যিকারার্থে ইংল্যান্ড দলে থিতু হতে পারেননি।
তবে ২০১৫ সাল থেকে ইংল্যান্ড ওয়ানডে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিন ত হয়েছেন প্লাংকেট। দীর্ঘ দেহী হওয়ার সুবাদে অতিরিক্ত বাউন্স পাওয়া এ বোলারকে আক্রমণ বিভাগে ব্যবহার করে আসছেন অধিনায়ক ইয়োইন মরগান।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়-টম কারান-২৪ বছর
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ দলে জোফরা আর্চার বাদ পড়ায় সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগি টম কারান।
ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ১৩টি ওয়ানডে খেলেছেন কারান। তবে এখন পর্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী কিছু করতে পারেননি। তবে ডেথ ওভারে ভিন্নতা তার পক্ষে গেছে, ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের সেরা একাদশে তাকে দেখাটা হবে মজার বিষয়।
অস্ট্রেলিয়া
সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়-শন মার্শ-৩৫ বছর
শন মার্শের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বারবার হোচট খেয়েছে। ২০৮৮ সালে অভিষেক হওয়ার পর দুর্বল ফর্ম ও ইনজুরির কারণে বার বার দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন মার্শ। ব্যাটসম্যান হিসেবে তার মেধার বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে নিজের মেধার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি।
তবে গত কয়েক বছর যাবত অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলে খেলছেন তিনি। স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার নিষিদ্ধ হওযার পর অসি ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্যে পরিনত হয়েছেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজে খারাপ করায় অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়া নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এরপর পাকিস্তান সিরিজে ভাল ইনিংস খেলে দলে জায়গা নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১১ বছরের হলেও এটাই হবে মার্শের প্রথম বিশ্বকাপ।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়- ঝাই রিচার্ডসন-২২ বছর
নিজের গতি ও ধারাবাহিকতা দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন ঝাই রিচার্ডসন। ১২ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি এবং অভিজ্ঞ জশ হ্যাজেলউডের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরা তাকেই বিশ্বকাপ দলে বেছে নিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা
সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়- ইমরান তাহির-৪০ বছর
ইমরান তাহিরের দীর্ঘ ক্রিকেট যাত্রা শেষ হবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। পাকিস্তানের মাটিতে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ পান তাহির। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি এবং তারপর থেকেই প্রোটয়িা দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সীমিত ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা স্পিনার তাহির। পুরো বিশ্ব জুড়ে খেলে আসছেন তিনি এবং বছরের পর বছর অর্জন করেছেন অভিজ্ঞতা। আসন্ন বিশ্বকাপ শেষেই অবসর নেবেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ টুর্নামেন্টের ‘বুড়া’ খেলোয়াড় তিনি।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়-লুঙ্গি এনগিডি-২৩ বছর
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে ফাস্ট বোলং। প্রোটিয়া দলের পেস আক্রমণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে ২৩ বছর বয়সী লুঙ্গি এনগিডি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত দুই বছরে অনেক কিছু দেখিয়েছেন তরুণ এ সেনশেসন।
পেস আক্রমণ বিভাগে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও প্রোটিয়া লাইন আপে নিজকে একজন নিয়মিত সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এনগিডি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়-ক্রিস গেইল-৩৯ বছর
ইউনিভার্স বস প্রমান করেছেন বয়স কেবলই একটা সংখ্যা মাত্র। ৩৯ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও ক্রিস গেইল প্রমান করছেন তিনি এখনো যথেষ্ঠ শক্তিশালী। প্রায় দুই দশক যাবত যে কোন বোলিং আক্রমণকে তছনছ করছেন তিনি। ২৮৯ ওয়ানডে খেলা অভিজ্ঞ গেইল দশ হাজারের বেশি রান করেছেন। নিজেই আসন্ন বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এ ব্যাটিং দানব।
গত দুই বছর সাধারণ মানের পারফরমেন্স দেখে মনে হয়েছিল তার ক্যারিয়ার বুঝি শেষ প্রান্তে। তবে সম্প্রতি নিজ মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেরা ফর্মে ফিরেছেন তিনি। এরপর চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে তার দুর্দান্ত ফর্ম তাকে বিশ্বকাপে আকর্ষণীয় তারকায় পরিণত করেছে।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়- ওশানে টমাস-২২ বছর
বিশ্বকাপে নজর কারা ফাস্ট বোলারদের একজন হবেন ওশানে টমাস। একজন সত্যিকারের ফাস্ট বোলার হচ্ছেন টমাস। যিনি নিয়মিতভাবে ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারেন।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তিনি রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওযানের মত তারকাদের সমস্যায় ফেলেছেন। ১৫ উইকেট শিকার রয়েছে তার ঝুলিতে।
ভারত
সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়-এমএস ধোনি-৩৭ বছর
বিরাট কোহলির মত মানসম্পন্ন, রোহিত শর্মার মত মেধাবী এবং জসপ্রিত বুমরাহর মত নিখুত মানের খেলোয়াড় থাকা সত্বেও বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের আশা ভরসা অনেকটাই নির্ভর করবে মহেন্দ্র সিং ধোনির মত অভিজ্ঞ ও ক্রিকেটীয় সুক্ষ্ম বিচার শক্তির তারকার ওপড়।
৩৭ বছর বয়সেও বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড়দের একজন ধোনি। তার অবিশ্বাস্য ফিটনেস লেবেল ছাড়াও উইকেটের পিছনে সবচেয়ে তীক্ষè দৃষ্টিসম্পন্ন উইকেটরক্ষক তিনি। একজন পিনিশার হিসেবে ধোনির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে গত কয়েক মাস যাবত ভারতের হয়ে কয়েকটি ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছেন তিনি। মাঠ ও মাঠের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্তের ব্যপারেই ধোনির দিকে তাকিয়ে থাকবেন কোহলি।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়-কুলদীপ যাদব-২৪ বছর
টিম ইন্ডিয়ার জন্য দারুণ এক সৃষ্টি কুলদীপ যাদব এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে তার রেকর্ডও বেশ সমৃদ্ধ। মাত্র ৪৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২১ দশমিক ১৪ গড়ে এ পর্যন্ত ৮৬ উইকেট শিকার করেছেন এ স্পিনার।
সমগ্র বিশ্বের ব্যাটসম্যানরা কুলদীপের বল খেলতে সমস্যা বোধ করছেন। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে খুব ভাল করতে না পারলেও বিশ্বকাপে তিনি হবে কোহলির প্রধান অস্ত্র।
উল্লেখ্য: এ পরিসংখ্যান ৫মে ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত।