অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার ফেরায় দলে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, উত্তেজনা নয়। তবে নেতৃত্ব হারানোর পর এ জুটিকে ‘নম্রতার বিকাশ’ ঘটানো শিখতে হবে।
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারীর কারণে এক বছরের নিষিদ্ধাদেশ শেষ হওয়ার পর গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে নির্বাচিত হন সাবেক অধিনায়ক স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। তবে তাদেরকে এখন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও একটি নতুন নেতৃত্ব বলয়ের অধীনে খেলতে হবে।
সম্পর্ক স্বাভাবিক বা সহজতর করতে গত মাসে দুবাইয়ে দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ জুটি আজই (শুক্রবার) ব্রিজবেনে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন।
অ্যালান বোর্ডর স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের ল্যাঙ্গার বলেন, ‘সত্যি বলছি, দলে কোন উত্তেজনা নেই। এ দু’জন ফেরায় আমরা অত্যন্ত উৎফুল্ল কেবলমাত্র ক্রিকেট খেলার বিষয়ে, আমরা অনেক বেশি উৎফুল্ল।’
বল টেম্পারিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক হতে পারবেন না যথাক্রমে স্মিথ-ওয়ার্নার। কেপটাউনে বল-টেম্পারিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত মনে করায় কালো তালিকাভুক্ত হয়েছেন ওয়ার্নার।
ল্যাঙ্গার বলেন, অভিজ্ঞতার কারণে অনায়াসেই স্মিথ ও ওয়ার্নার নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তি হবেন এবং মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাদের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। তবে তাদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হবে পদাবনতি মেনে নেয়া।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অভিজ্ঞতা মাঠ ও মাঠের বাইরে কাজে লাগাবো তবে আমরা একেবারেই উত্তেজিত হয়ে পড়বো না। নিশ্চিতভাবেই এবারের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যখন আপনি অধিনায়কের পদ হারিয়ে কেবলমাত্র একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলে থাকবেন তখন নিশ্চিতভাবেই আপনাকে অনেক নম্র হতে হবে। তবে আমাদের অন্যতম শক্তিশালী মূল্যবোধ হচ্ছে নম্রতা সুতরাং এটা বিকাশে এ বিশ্বকাপ হবে তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ।’
স্মিথ-ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল-টেম্পারিং-কেলেঙ্কারীর পর ছেদ পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরমেন্সে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দু’টি সিরিজে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়া। পিছিয়ে পড়েও ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় অসিরা। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে অ্যারন ফিঞ্চের দল। বিশ্বকাপের আগে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসী অসিরা।
স্মিথ-ওয়ার্নার ফেরাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে সর্তক ল্যাঙ্গার। ভারতে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে উসমান খাজার ব্যাটিং-এ প্রশংসা করেছেন তিনি। পেসার মিচেল স্টার্কের ইনজুরি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ল্যাঙ্গার। তবে ইনজুরি থেকে বেশ ভালোভাবেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন স্টার্ক। কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন জেই রিচার্ডসনও। তিনিও সুস্থতার পথেই আছেন। তবে যাই হোক আসন্ন বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখাই প্রধান লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার।