বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারীর কারণে নিষিদ্ধাদেশ কাটিয়ে খেলা ফেরা ‘ক্ষুধার্ত’ ওয়ার্নার আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করবেন। ব্যাট হাতে মেগা এ ইভেন্টে তিনি শাসন করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
বল টেম্পারিংয়ের কারণে এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন ওয়ার্নার। এ সময় টুক-টাক ক্রিকেট খেললে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিজের জাত চিনিয়েছেন ওয়ার্নার। ১২ ইনিংসে ৬৯২ রান করেছেন। তার এমন পারফরমেন্সে মুগ্ধ অসি দলপতি ফিঞ্চ।
আসন্ন বিশ্বকাপে ওয়ার্নারকে রানের জন্য ক্ষুধার্ত দেখা যাবে বলে মনে করেন ফিঞ্চ, ‘শুধুমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্যই পারফর্ম করেননি, ভীষণ ক্ষুধার্ত হয়ে দলে ফিরেছেন ওয়ার্নার। আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তার করে খেলবেন তিনি।’
ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ছন্দ হারাননি ওয়ার্নারের ব্যাট। সেটির প্রমাণ আইপিএল। ১টি সেঞ্চুরি, ৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৯ দশমিক ২০ গড়ে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান যে তার। আইপিএল থেকে দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়েই বিশ্বকাপ মাতাবেন ওয়ার্নার।
বিশ্বকাপে মাতাতে ওয়ার্নার নিজেও অস্থির হয়ে রয়েছেন বলে মনে করেন ফিঞ্চ, ‘যখন আপনি ১২ মাস ধরে আপনার লক্ষ্য থেকে দূরে থাকবেন, তখন কল্পনা করা যায় আপনার মধ্যে এমন কিছু আছে যা জ্বলছে। সে খুবই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমরা জানি সে কিভাবে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এবং খেলা থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। বল টেম্পারিংয়ের ঘটনার পর পথ হারালেও দেশের বাইরে শেষ দু’টি সিরিজে চমক দেখিয়েছে অসিরা। ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে ফিঞ্চের দল। তাই বিশ্বকাপের আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার-স্মিথ ফেরায় দল আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে বলেও মনে করেন ফিঞ্চ।
তাদের অর্ন্তুভূক্তি দলে কোন সমস্যা করবে না বলে জানান অসি দলপতি, ‘আমি কৌশলগতভাবে তাদের ব্যবহার করবো। কারণ তারা অধিনায়ক হিসেবে অনেক ক্রিকেট খেলেছে এবং তারা ক্রিকেট মাঠে খুবই ভালো অধিনায়ক।’
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষে নিজের ফর্ম নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন ফিঞ্চ। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দু’টি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ-সেঞ্চুরিতে নিজের ফর্ম ফিরে পান তিনি। তাই নিজেও খুশি ফিঞ্চ, ‘অনেকেই ভেবেছেন, অফ-ফর্মের কারণে আমি বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়তে পারি। ফলে পারফর্ম করার জন্য আমার উপর চাপ সৃষ্টি হয়। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরমেন্স আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।’