আড়াই মাস পর ব্যাট হাতে নিলেন সাকিব আল হাসান। আইপিএলে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৯ রান করেন তিনি। এরপর বল হাতে অবদান রাখার সুযোগ পেয়েও অনুজ্জ্বল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই তারকা। ৩.১ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে দলও হেরে গেছে ৭ উইকেটে।
১১ ম্যাচে ষষ্ঠ হারেও ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে হায়দরাবাদ। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্টে ছয়ে উঠে গেছে রাজস্থান। তাতে প্লে অফ খেলার আশা এখনও বেঁচে থাকলো তাদের। রাজস্থানের এই জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে চেন্নাই। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের।
জয়পুরে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় রাজস্থান। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দারুণ শুরু করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মানীষ পান্ডে জুটি। কিন্তু শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ ছিলেন। তাতে ৮ উইকেটে ১৬০ রান করে হায়দরাবাদ। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬১ রান করে রাজস্থান।
২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। এরপর ওয়ার্নার ও মানীষের ৭৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু ৩২ বলে ৩৭ রানের বাউন্ডারিহীন ইনিংস খেলে বিদায় নেন ওয়ার্নার। মানীষ পঞ্চাশ রানের ইনিংসকে বেশিদূর নিতে পারেননি। ৩৬ বলে তার ৯ চারে সাজানো ৬১ রানের ইনিংস থামলে মাঠে নামেন সাকিব। মাত্র ১০ বল খেলে দুই অঙ্কের ঘরে না পৌঁছে বিদায় হন তিনি।
রাজস্থানের পক্ষে শ্রেয়াস গোপাল, জয়দেব উনারকাট, বরুন অ্যারন ও ওশানে থোমাস দুটি করে উইকেট নেন।
আজিঙ্কা রাহানে ও লিয়াম লিভিংস্টোনের ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে রাজস্থান। ২৬ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪৪ রানে মাঠ ছাড়েন লিভিংস্টোন। রশিদ খান ভাঙেন এই জুটি।
এরপর রাহানে ফিরে যান ৩৯ রানে, তাকে ওয়ার্নারের ক্যাচ বানান সাকিব। দুই ওপেনার আউট হলেও সানজু স্যামসনের অপরাজিত ইনিংসে জয় পায় রাজস্থান। শেষ ওভারে ৪ রান দরকার ছিল তাদের। এত অল্প রান আটকাতে পারেননি সাকিব। স্যামসন তাকে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন। ৩২ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
সাকিবের সমান একটি করে উইকেট পান রশিদ খান ও খালেদ আহমেদ। ম্যাচসেরা হয়েছেন রাজস্থানের উনারকাট।