পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং ও ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীসের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে জয়ের ধারায় ফিরলো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আজ সুপার লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে হারায় প্রাইম দোলেশ্বর স্পোটিং ক্লাবকে। আগের ম্যাচেই শেখ জামালের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছিলেন রূপগঞ্জ।
এই জয়ে ১৪ খেলায় ১২ জয় ও ২ হারে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে টেবিলের শীর্ষে রূপগঞ্জ। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ জয় ৬ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকলো প্রাইম দোলেশ্বর।
আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে ঘোষিত বাংলাদেশ দলে সুযোগ হয়নি ডান-হাতি পেসার তাসকিনের। দলে সুযোগ না পেয়ে চোখ ভিজিয়েছিলেন। কিন্তু মনোবল হারাননি। বলেছিলেন, ‘সামনে আরও সুযোগ আছে। আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ডিপিএলের সুপার সিক্সে ভালো খেলার চেষ্টা করবো। সবাই দোয়া করবেন, আমি চেষ্টা করবো ভালো করার।’
চেষ্টা করবেন কথা দিয়েছিলেন তাসকিন। ঠিকই নিজেকে উজার করে দিয়েছেন এবং সফলও হয়েছেন। আজ সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর উইকেটে দলের চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তার শিকার হয়েছেন সাইফ হাসান ৩৭, সৈকত আলী ৭২ (সর্বোচ্চ স্কোরার), অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ২ ও তাইবুর রহমান ২৭।
তাসকিনের পাশাপাশি বল হাতে প্রাইম দোলেশ্বরের ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলতে দেননি রূপগঞ্জের অন্য দুই পেসার মোহাম্মদ শহীদ ও ভারতীয় ঋষি ধাওয়ান। শহীদ ৩ ও ধাওয়ান ২ উইকেট নেন। ফলে ৪৫ ওভারে ২০৫ রানেই অলআউট হয় প্রাইম দোলেশ্বর।
২০৬ রানের সহজ টার্গেট স্পর্শ করতে শুরুতেই ধাক্কা খায় রূপগঞ্জ। নিজেদের ইনিংসের রানের খাতা খোলার আগেই সপ্তম বলে উইকেট হারায় তারা। ১ বল মোকাবেলা করে শুন্য হাতে ফিরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। তবে শুরুর ধাক্কাটা দ্রুতই ভুলিয়ে দেন আরেক ওপেনার মেহেদি মারুফ ও তিন নম্বরে নামা শাহরিয়ার নাফীস। ১৩১ বলে ১০০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের লাগাম রূপগঞ্জের দিকে নিয়ে আসেন মারুফ ও নাফীস।
মারুফ ৪১ রানে বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন নাফীস। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আসিফ আহমেদ। ১৭ রান করেন তিনি। তবে অধিনায়ক নাইম ইসলামকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাফীস। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪২ বলে অপরাজিত ১১৩ রান করে ম্যাচ সেরা হন নাফীস। ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম।