সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোটিং ক্লাবের বিপক্ষে ৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আবাহনী লিমিটেডকে বড় জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন দলের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এক ম্যাচে বাদে আবারো জ্বলে উঠলেন তিনি।
এবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সুপার লিগে আবাহনীকে তৃতীয় ম্যাচে জয়ের স্বাদ দিলেন সাইফউদ্দিন। প্রাইম ব্যাংককে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। এই জয়ে ১৪ খেলায় ১১ জয় ও ৩ হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ জয় ৬ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকলো প্রাইম ব্যাংক।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে আবাহনী। ব্যাট হাতে নেমে ৭ রানে মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেন প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনার অধিনায়ক এনামুল হক ও রুবেল মিয়া। এনামুল শূন্য ও রুবেল ২ রান করে ফিরেন। দু’জনই শিকার হন সাইফউদ্দিনের।
পরের তিন ব্যাটসম্যানও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ফলে ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক। তবে অলক কাপালি ও নাইম হাসান দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান। সপ্তম উইকেটে ১০৮ রানের জুটি গড়েন তারা। কাপালি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১১২ বলে ৮০ রানে থামলেও ৫টি চারে ৭৬ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম।
প্রাইম ব্যাংকের শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে শিকার করে প্রতিপক্ষকে ২২৬ রানে গুটিয়ে দেন সাইফউদ্দিন। তার ম্যাচ ফিগার ৩২ রানে ৫ উইকেট। এবারের আসরে দ্বিতীয়বারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। লিগে ১১ ম্যাচে ২৩ শিকার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সাইফউদ্দিন।
জয়ের জন্য ২২৭ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীরও। ৫৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় তারা। ইনফর্ম জহিরুল ইসলাম ২৪, সৌম্য সরকার ২ বলে শূন্য ও সাব্বির রহমান ২৬ রান করেন। এরপর দলকে খেলায় ফেরান ভারতীয় ওয়াসিম জাফর ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১২২ রানের জুটি গড়েন তিনি।
৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ বলে ৬৪ রান করে থামেন জাফর। তবে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৪ বলে অপরাজিত ৭৭ ও মিথুন ২৪ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাইফউদ্দিন।