বিশ্বকাপ দলে না থাকাটা তাসকিনের জন্য ‘দুর্ভাগ্য’ বললে ভুল হবে না। কারণ যিনি গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন, তিনি নেই এবারের বিশ্বকাপে।
হয়তো একটু কষ্টটা বেশিই হচ্ছে বাংলাদেশের এ পেসারের। কারণ তিনি বার বার বলেছিলেন সব কিছুর বিনিময়ে বিশ্বতাপ খেলতে চান। মঙ্গবার বিসিবির ঘোষিত দলে জায়গা না পেয়ে নিজের আবেগটা ধরে রাখতে পারেননি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তাসকিন। কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে অঝরে কেঁদেছেন তিনি।
শুধু সকলের দোয়া চেয়ে তাসকিন বলেন, সামনে আরও সুযোগ আছে। আমি চেষ্টা করবো সুপার লিগ ভালো ভাবে খেলার জন্য। নির্বাচকরা যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়তো করেছেন।
গত বিশ্বকাপে তাসকিন বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন। বিশ্বকাপে সেরা বোলারদের তালিকায় ২৩ নম্বরে থেকে তিনি ৬ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে কেন দলে জায়গা হলো না?
তাসকিনের দলে না থাকা বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচকমিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘‘তাসকিন ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর শেষ ম্যাচ খেলেছিল। তারপর যখন দলে ডাক পেলো সে আবার ইনজুরিতে পড়ে যায়। এখন পর্যন্ত পিজিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে আমাদের কাছে পুরোপুরি ফিট না। এছাড়া আমরা তাকে চেয়েছিলাম স্কিন ফিট হিসেবে, তাই ঘরোয়া লিগে সে একটি ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু তাকে দেখা গেছে সে আপ টু দা মার্ক না।’’
নান্নু আরও বলেন, ‘‘তবে এখনও সময় আছে। যদি আয়ারল্যান্ড সিরিজে কেউ ইনজুরি হয়ে যায়, তাহলে তাকে আমরা বদলি খেলোয়াড় হিসেবে পাঠাতে পারবো।’’
প্রসঙ্গত, গত পহেলা ফেব্রুয়ারী বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের একটি ছক্কার মার তালুবন্দি গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন তাসকিন।
এরপর থেকে ইনজুরির কারণে তিনি মাঠ থেকে ছিটকে যান। প্রায় দেড় মাসের মতো মাঠের বাইরে ছিলেন তাসকিন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ডাক পেলেও ইনজুরির কারণে পরে তিনি নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন।
বোলার তাসকিনের ব্যাটিং রেকর্ডে দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি ৩২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪১ রান, ৫ টেস্ট খেলে ৬৮ এবং ১৯ টি-২০ খেলে ২৯ রান করেছেন। এছাড়া বোলিংয়ে ৩২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪৫, ৫ টেস্ট খেলে ৭ উইকেট এবং৩২ টি-২০ খেলে ৪৫ উইকেট নিয়েছেন। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকায় টি-২০ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় এ পেসারের।