দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দেড় মাসের এক সিরিজে তিনটি টেস্ট, ছটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্যে কেপটাউনে যাওয়ার পর তাদের তড়িঘড়ি করে স্নান সেরে ফেলতে বলার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে শহরের পানির সঙ্কট। আর তার জন্য দুই মিনিটে গোসল সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি থেকে নগর কর্তৃপক্ষ পানি ব্যবহারের উপর কঠোর কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।
এর মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট দলটি ম্যাচ খেলতে সেখানে গেছে। এই খবরটি দিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শহরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যখন ভারতীয় দল কেপ টাউনে গিয়ে পৌঁছায়। হোটেলে পৌঁছানোর পরই পানি সাশ্রয়ের জন্যে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের এই অনুরোধ করা হয়েছে।
অনুশীলনের পর হোটেলে ফিরে তাদের সকলেই তখন ঘর্মাক্ত ছিলেন এবং গোসলের জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতীয় অনেক ক্রিকেটারই এমন জায়গা থেকে এসেছেন যাদের নিজের এলাকাতেও রয়েছে পানির তীব্র সঙ্কট। আর একারণে তারা কর্তৃপক্ষের এধরনের অনুরোধের মর্ম বুঝতে পেরেছেন।
শহরের বাসিন্দারা কতোটুকু পানি ব্যবহার করতে পারবেন তার একটি হিসেব বেঁধে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বলা হচ্ছে, এক মাসে একটি পরিবার ১০,৫০০ লিটার পানি খরচ করতে পারবে। অথবা এক ব্যক্তি একদিনে ৮৭ লিটার পানি ব্যবহার করতে পারবেন।
কেপটাউনে পানির সঙ্কটের কারণে এর ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে
শহরের বেশিরভাগ মানুষই কর্তৃপক্ষের এই বিধিনিষেধ মেনে চলছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই লাখেরও বেশি বাড়িতে এখনও নির্ধারিত পরিমাণের চেয়েও বেশি পানি খরচ করা হচ্ছে।
তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই সীমা লঙ্ঘন করলে তাদের ৮০০ ডলার জরিমানা করা হতে পারে।
তবে গোসলের জন্যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কম সময় পেলেও তাদের জন্যে একটি সুখবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। পত্রিকাটি বলছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে বাতাসে আদ্রতা কম থাকবে এবং এর ফলে পিচ শুকনা থাকবে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা এরকম পিচেই খেলতে বেশি অভ্যস্ত।