অধিনায়ক নাইম ইসলামের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্ব শুরু করলো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আজ সুপার সিক্সের প্রথম দিন তারা ৪৬ রানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবকে।
এই জয়ে ১২ খেলায় ১১ জয় ও ১ হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো রূপগঞ্জ। ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে উঠেছিলো দলটি। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৬ জয় ও ৬ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থাকলো মোহামেডান।
সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে মোহামেডান। ব্যাট হাতে ভালো শুরু করতে পারেনি রূপগঞ্জ। দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১৪ রান করে ফিরে যান মেহেদি মারুফ। এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও মোমিনুল হক।
৩৪ রানের জুটি গড়েন তারা। নাইম ২৬ রানে থামলে অধিনায়ক নাইমকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন মোমিনুল।
হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৭৮ রানে থেমে যান তিনি। তবে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক নাইম। তৃতীয় উইকেটে মোমিনুলের সাথে ১০৭ রানের জুটির পর চতুর্থ উইকেটে শাহরিয়ার নাফীসের সাথে ১২১ রান যোগ করেন নাইম।
৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ বলে অপরাজিত ১০৮ রান করেন নাইম। নাফীস ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬১ বলে করেন ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় রূপগঞ্জ।
জয়ের জন্য ৩১৪ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করার চেষ্টা করে মোহামেডান। তবে ৭১ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। এরপর জোড়া-হাফ সেঞ্চুরিতে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন ইরফান শুক্কুর ও রকিবুল হাসান। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন।
কিন্তু দলীয় ১৮৮ রানের মধ্যে শুক্কুর ও রকিবুলের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে মোহামেডান। কারন পরের দিকে আর কোন ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ২ ওভারে ২৬৭ রানে অলআউট হয় মোহামেডান।
শুক্কুর ৯১ বলে ৭৩ ও রকিবুল ৬২ বলে ৫৮ রান করেন। রূপগঞ্জের পেসার শুভাশিষ ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন রুপগঞ্জের অধিনায়ক নাইম।