অ্যালেক্স হেপবার্ন, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটার। যদিও তার জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়। ক্যারিয়ার গড়তে ২০১৩ সালে পাড়ি জমান ক্রিকেটের জনক দেশ ইংল্যান্ডে। সেখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ হয় এই অলরাউন্ডারের। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইংলিশ ক্লাব উস্টারশায়ারের হয়ে শুরু হয় তার পথচলা।
পারফরম্যান্স দিয়ে কখনো আলোচনায় আসতে পারেননি হেপবার্ন। তবে ভিন্ন এক কারণে শিরোনামে পরিণত হন এই ক্রিকেটার। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ইংল্যান্ডে একটি হোটেলে ঘুমন্ত অবস্থায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। চলতি বছরের শুরুতে ওই মামলার শুনানি শুরু হয়।
তিন মাসের শুনানি শেষে ১২ এপ্রিল, শুক্রবার হেপবার্নকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ওর্সেস্টর ক্রাউন আদালত। দোষী ঘোষণার পর কেঁদে ফেলেন ২৩ বছর বয়সী এই ইংলিশ ক্রিকেটার। আদালতের রায় ঘোষণার সময় মুখ ঢেকে বসেছিলেন অ্যালেক্স হেপবার্ন।
দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের এক রাতে হেপবার্ন ও তার ক্লাব সতীর্থ জোই ক্লার্ক একই হোটেলে ছিলেন। ওই রাতেই এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন হেপবার্নের সতীর্থ ক্লার্ক। রাত গভীর হলে কোনো এক কাজে রুমের বাইরে যান ক্লার্ক।
এই সুযোগে ক্লার্কের বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন হেপবার্ন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে হেপবার্নকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে উস্টারশায়ার। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় দলটির ক্রিকেট ডিরেক্টর স্টিভ রোডসকেও (বাংলাদেশের বর্তমান কোচ) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
আদালতে শুনানি চলাকালে অবশ্য পুরো বিষয়টিই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন হেপবার্ন। ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার জানান, সেই রাতে ওই নারী ঘুমিয়ে ছিলেন না। বরং ওই নারীর ইচ্ছাতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল তাদের।
হেপবার্নের ভাষ্য, ‘ওই রাতে ক্লার্কের ঘরে আলো ছিল না। আমি ওর বিছানায় যাওয়ার আগে বুঝতেই পারিনি অন্য কেউ আছে। সে গড়িয়ে আমার দিকে চলে আসে এবং চুমু খায়। আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি ও তখন জেগেই ছিল এবং আমাকে চুমুও খেয়েছিল। অবশ্য প্রায় ২০ মিনিট পর সে বলেছিল, তুমি আমাকে ধর্ষণ করেছ!’