ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে শুরু হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দ্বাদশ বিশ্বকাপ। ১৯৭৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্বকাপ, আর সর্বশেষ আসর বসে ২০১৫ সালে।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের মোট ১১টি আসরে অনেক পরিবর্তন দেখেছে বিশ্ববাসী । এ সময়ের মধ্যে ৬০ থেকে কমিয়ে ৫০ ওভারে আনা হয়েছে ম্যাচের পরিধি, প্রবর্তন হয়েছে রঙ্গীন পোশাকের। সাদা বল ও দিবা-রাত্রির ম্যাচসহ অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে ক্রমে ক্রমে।
ক্রিকেটরে সবচেয়ে বড় এ আসরে এখন পর্যন্ত মোট ২০ দেশ অংশ নিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কোবলমাত্র ৭টি দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড ১১টি টুর্নামেন্টের সব আসরেই অংশ নিয়েছে। সর্বোচ্চ ১৬টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপ। আর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে।
দীর্ঘদিন পর এবারের (২০১৯ সাল) আসরে প্রথমবার কোন সহযোগী দেশ এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে না। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আসরে টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দল অংশ নিচ্ছে। উপররে উল্লিখিত দেশগুলো ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান অংশ নিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচবার বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছে এবং তারাই একমাত্র দল যারা এক নাগারে তিনবার বিশ্বকাপ জয় করেছে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর পর দুইবার জিতেছে বিশ্বকাপ শিরোপা।
বিশ্বকাপ ‘রোল অব অনার’
১৯৭৫-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৭৯-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৮৩-ভারত
১৯৮৭-অস্ট্রেলিয়া
১৯৯২-পাকিস্তান
১৯৯৬-শ্রীলঙ্কা
১৯৯৯-অস্ট্রেলিয়া
২০০৩-অস্ট্রেলিয়া
২০০৭-অস্ট্রেলিয়া
২০১১-ভারত
২০১৫-অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটিং পারফরমেন্স
৪১৭/৬ অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ২০১৫। বিশ্ব্কাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
৩৬ কানাডা প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০০৩। বিশ্বকাপে সর্ব নিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
২২৭৮ ভারতের শচিন টেন্ডুলকারের রান। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান।
২৩৭* মার্টিন গাপটিলের রান প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
১৬৫- বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সেঞ্চুরি সংখ্যা।
২৬- অস্ট্রেলিয়া দলের সেঞ্চুরি সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন দলের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি।
৬- শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
১৫- শচিন টেন্ডুলকারের হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরি সংখ্যা।
৬৭৩-২০০৩ আসরে শচিন টেন্ডুলকারের রান সংখ্যা। বিশ্বকাপের কোন এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান সংখ্যা।
বোলিং পারফরমেন্স
৭১- অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রার উইকেট সংখ্যা। বিশ্বকাপে কোন বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা।
৭/১৫-নামিবিয়ার বিপক্ষে ২০০৩ আসরে গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিং ফিগার। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।
৫৪- বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা।
১৩-অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের পাঁচ উইকেট শিকারের সংখ্যা। বিশ্বকাপে যা কোন দলের সর্বোচ্চবার পাঁচ উইকেট শিকার।
২-বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ বার পাঁচ উইকেট শিকার। অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি গিলমোর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাসবার্ট ড্রাকেস, শ্রীলঙ্কার অশান্তা ডি মেল, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুইবার করে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
২৬- এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। ২০০৭ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট শিকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা।
উইকেট কিপিং পারফরমেন্স
৫৪-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। যে রেকর্ডটি শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার দখলে।
৬ -বিশ্বকাপের কোন আসরে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট এবং ২০১৫ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ এ রেকর্ডের মালিক।
২১- এক আসরে কোন উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ ডিসমিজাল। ২০০৩ বিশ্বকাপে এ রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট।
ফিল্ডিং পারফরমেন্স
২৮ : বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। যার মালিক অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।
৪-বিশ্বকাপের কোন এক ম্যাচে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের মোহাম্মদ কাইফ, ২০১৫ আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সৌম্য সরকার, একই আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের উমর আকমলের দখলে রয়েছে রেকর্ডটি।
১১- বিশ্বকাপের এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ক্যাচ। ২০০৩ আসরে রেকর্ডটি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।