ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অপ্রতিরোধ্য আবাহানীর জয় রথ থামাল রূপগঞ্জ স্পোটিং। শীর্ষ থাকা আবাহানীকে ৬ উইকেটে হারায় রূপগঞ্জ।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার রূপগঞ্জ টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে নেমেই দলীয় রানের খাতা খুলার আগেই উইকেট হারায় আবাহানী।
ডিপিএলে রানে শীর্ষে থাকায় জহুরুল ইসলাম এদিন শূণ্য রাতে আউট হয়। জহুুরুলকে আউট করার পর শুভাশিষ ফের আঘান হানেন আবাহানী শিবিরে। দলীয় ৮ রানে ফিরে যান নাজমুল হাসান শান্ত।
শান্ত ফেরার পর প্রিয়াং ক্রিট পানচালকে সাথে নিয়ে সৌম্য সরকার জুটি গড়তে চেষ্টা করেন। তবে সেটা বেশি দূর এগোয় নি। শুভাশিষের তৃতীয় আঘাতের শিকার হন সৌম্য সরকার। ২২ বলে ১৪ করে ফিরেন তিনি।
এরপর পানচাল ও সাব্বির ফিরেন যথারীতি ১ এবং ০ রান করে। টপ অর্ডারদের ব্যার্থার দিনে দলকে বড় মান বাঁচাতে মরিয়া ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন এবং মোসাদ্দেক হোসাই। দুজনের গড়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
মিথুন-মোসাদ্দেকের ৪৩ রানের জুটিই ছিল আবাহানীর মান বাঁচানোর রান। মিথুন করেন ৫৫ বলে ৩৮ রান এবং মোসাদ্দেক ৮৮ বলে ৪৪ রান করেন।
মিথুন এবং মোসাদ্দেক ফিরে গেলে আর কেউ তেমন জুটি গড়তে পারেনি। যখন আবাহানীর ১০০ রান তুলাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার সেখানে মাশরাফি মুর্তজার ১৫ রান ছিল মহামূল্যবান। মাশরাফি ২ ছয়ের মারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ বলে ১৫ রান তুলেন। ফলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২২ রান তুলে।
রূপগঞ্জের হয়ে শুভাশিষ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ শহিদ এবং নাবিল সামাদ দুটি করে উইকেট। রিষি দাওয়ান ও মুক্তার আলী একটি করে উইকেট নেন।
১২৩ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে রূপগঞ্জ। মেহেদি মারুফ ও মোহাম্মদ নাঈম ৬২ রানের বড় জুটি গড়েন। ব্যাক্তিগত ২২ রান করে সাইফুদ্দিনের বলে আউট হন মোহাম্মদ নাঈম।
নাঈম ফিরে যাওয়ার পর মুমিনুল কে নিয়ে জুটি গড়েন মারুফ। ৪৫ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন মুমনিুল। তিনি ফিরেন ১৭ রান করে।
মুমিনুল ফেরার পরের ওভারেই আউট হন মারুফ। মারুফ ৮৫ বলে ৫৯ রান করেন। মারুফ ফেরার পর পরই ২ রানে আউট হয় জাকের আলী।
এরপর নাঈম ইসলাম ও শাহরিয়ার নাফিসের জুটিতে ৬ উইকেটে জয় পায় রূপগঞ্জ।
আবাহানীর হয়ে নাজমুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন এবং সাব্বির রহমান একটি করে উইকেট নেন। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচ সেরা হন শুভাশিষ।