নিউজিল্যান্ডে সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে অজ্ঞাত বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে। সেই মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা নিরাপদে থাকলেও তারা আরও খেলার মানসিকতায় নেই। টাইগাররা যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসতে চান।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম এ তথ্য জানেয়েছেন। তিনি জনান, মুশফিক-তামিমরা টিম হোটেলে নিরাপদে আছেন। তবে তারা বেশিক্ষণ নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করতে চাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না তারা এখন ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থায় আছে। তারা যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চায়। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি যা শুনছি তা থেকেই বলছি।’
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে ইসাম বলেন, যখন ঘটনাটা ঘটছিল, তখন একজন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করে বললেন যে, যাতে আমি পুলিশকে এটি জানাই। কিন্তু আমিও ক্রাইস্টচার্চে নতুন। ফলে জানা নেই কার সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিৎ। তাই আমি একজন অপরিচিত ব্যক্তির গাড়িতে করে কোনোভাবে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাদের জানাই। পুরো ঘটনাটাই মর্মান্তিক।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাত বন্দুকধারী সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে হামলা চালায়। সেই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সৌভাগ্যবশত মসজিদে ঢোকার আগমুহূর্তে হামলার খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সে স্থান ত্যাগ করেন তামিম, মিরাজ, তাইজুলরা।
এদিকে ওই হামলার পর বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ডের তৃতীয় ম্যাচ বাতিল করেছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। নিউজিল্যান্ডের বর্তমান দলের ৯ জন সদস্যই ক্রাইস্টচার্চে অবস্থান করছেন।