ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়ক রকিবুল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেলো আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাব। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেটে হারায় আবাহানী।ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়ক রকিবুল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেলো আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাব। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেটে হারায় আবাহানী।
মঙ্গলবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা খেলাঘরের দুই ওপেনার মাহিদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম রবি দ্রুত বিদায় নিলেও অমিত মজুমদার ও মোসাদ্দেক ইফতেখার দলের হাল ধরেন।
অর্ধশত ছাড়ান জুটি গড়ে দলকে সঠিক পথে ফেরায় এই দুই ব্যাটসম্যান। অমিত পর পর দুই ম্যাচে ভালো শুরুর পরও মাঝ পথে খেই হারিয়েছেন। ৩৭ রান করে সোহাগ গাজির বলে বোল্ড হন তিনি।
মিডেল ওভারে আল মেনারিয়াকে সাথে ছোট্ট জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক। কিন্তু আশারাফুলের বলে মেনারিয়া ২৬ রানে আউট হলে খেই হারায় খেলাঘর।
৩৮তম ওভার মেনারিয়ার বিদায়ের পর ৫৫ রান যোগ করেই শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে খেলঘর। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৩ ওভারে ২২৫ রানে অল আউট হয় খেলাঘর।
মোহামেডানের হয়ে ১০ ওভারে ৪১ রান খরচায় তিন উইকেট শিকার করেছেন সোহাগ গাজি। আলাউদ্দিন বাবু ও কাজি অনিক দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাংটিয়ে নেমে মোহামেডানের দুই ওপেনার অভিষেক মিত্র ও আবুল মজিদ দুর্দান্ত শুরু করেন। ২০ ওভারের
সময় ২৭ রান করে আউট হন অভিষেক। একই ওভারের শেষ বলে ৪০ রান করে আউট হনে আবুল।
এরপর রকিবুল হাসান ও ইফরান শুক্কুর জুটি গড়েন। তবে তা বেশি দূর এগোয়নি। ২৬ ওভারের সময় ইফরান ২৩ রানে আউট হন।
ইফরান আউট হওয়ার পর শেষ ম্যাচে শূণ্যে রাতে আউট হওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল ব্যাটিংয়ে নামেন। গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচে ব্যার্থ আশরাফুল। ২২ বলে খেলে মাত্র ১০ রান করে আউট হন আশরাফুল।
আশফুল আউট হওয়ার পর বিপাকে পড়ে মোহামেডান। তবে নাদিফ চৌধুরীকে সাথে নিয়ে জুটি গড়েন রকিবুল। মোহামেডান জয়ের যখন খুব কাছে তখন নাদিফ আউট হন ৩৯ রানে। তারপর সোহাগ গাজী ৫ রান করে আউট।
এরপর রকিবুল জুটি গড়েন আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে।
তবে খেলা ততক্ষণে হাড্ডি লড়াইয়ে গড়ায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য মোহামেডানের দরকার ছিল ৯ রান। তবে রকিবুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শেষ ওভাবে এক ছয় ও এক চার মেরে দলকে জয় উপহার দেয়।
খেলাঘরের হয়ে তানভীর ইসলাম ও রবিউল হক দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া, মাসুম খান ও রবিউল ইসলাম রবি একটি করে উইকেট পান।