ওয়েলিংটনের উইকেট আর কন্ডিশন নিয়ে একটা প্রচ্ছন্ন ভয় কাজ করছিল বাংলাদেশ শিবিরে। ম্যাচের প্রথম দুদিন বৃষ্টিতে ভিজে যায়। দুপুরের পর প্রথমবারের মতো উইকেট থেকে আচ্ছাদন সরিয়ে ফেলা হয়। সবুজাভ উইকেট দেখে টস জিতলে প্রথমে ফিল্ডিং করার আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস।
কিন্তু টস হেরে আজ ব্যাটিংয়ে নেমে সব ভয়-ডর দূরে ঠেলে দিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু তামিম-সাদমানের অসাধারণ একটা সূচনা অন্যান্য ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতায় দিনশেষে আক্ষেপে পরিণত হয়েছে। তৃতীয় দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন দাস জানালেন, ব্যাটিংয়ে আরো মনোযোগী হলে দৃশ্যটা অন্যরকম হতে পারত।
তামিম ইকবালের ৭৪ রানের পর দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাত নম্বরে নামা লিটন দাস। দলের মুখপাত্র হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, ‘উইকেট শুধু বোলারদের সহায়তা করেনি। ব্যাটসম্যানদের জন্যও সমান সুবিধা ছিল। আমরা দারুণ শুরুর পরেও ধরে রাখতে পারিনি। সবুজ উইকেটে বোলাররা কিছুটা সহায়তা পাবেই। তবে তামিম ভাই কিন্তু মনোযোগ দিয়ে খেলে সফল হয়েছেন। অন্যরাও আরেকটু মনোযোগী হয়ে খেললে ভিন্ন কিছু হতে পারত।’
ব্যাটিংটা হতাশার সঙ্গে শেষ হওয়ার পর বোলিংয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে পেসার আবু জায়েদ রাহি চটজলদি দুই কিউই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে আশা জাগিয়েছেন। আশাবাদী লিটন জানালেন, ‘আমরা দুটো উইকেট নিতে পেরেছি, এটা একটা ইতিবাচক দিক। আবহাওয়া এখনো সহায়ক আছে, উইকেটটাও বোলারদের সহায়তা করছে।’
আগামীকালও এমন সহায়তা পাওয়ার আশা নিয়েই বোলিং শুরু করবেন জায়েদ-মুস্তাফিজরা।