এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৩১টি টেস্ট, ৫৩টি ওয়ানডে ও ১১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মিচেল মার্শ। যদিও চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যান ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর জায়গা হয়নি ভারত সিরিজেও। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
শেফিল্ড শিল্ডে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার খেলছেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। আবারও জাতীয় দলে ফিরতে এটাই ছিল মার্শের জন্য নিজেকে প্রমাণের আদর্শ মঞ্চ। কিন্তু ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে দলের হয়ে অনুশীলনের সময় গুরুতর এক চোট পান মার্শ। কোচের ছুঁড়ে দেওয়া বল তালুবন্দী করতে পারেননি।
আর ওই বল সরাসরি আঘাত হানে তার অণ্ডকোষে। এতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। আধাঘণ্টা পরও ব্যথা থাকায় হাসপাতালে যান মার্শ। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, বলের আঘাতে মার্শের একটি অণ্ডকোষ ফেটে গেছে।
২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মার্শের ভাষ্য, ‘ফ্লিকার ব্যবহারের সময় আমাদের এক কোচের ছুঁড়ে দেওয়া বলে আমি এই জায়গায় আঘাত পাই। সাধারণত অণ্ডকোষে আঘাত পেলে এটি বড়োজোর কয়েক মিনিট ব্যথা অনুভুত হয় এবং একসময় ব্যথা মিলিয়ে যায়। কিন্তু আধঘণ্টা পরও আমি ঠিক একই পরিমাণ ব্যথা অনুভব করছিলাম।’
মার্শ বলেন, ‘দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার জন্য আমাকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা ভাবছিলেন আমার একটি টেস্টিকেল (অণ্ডকোষ) ফেটে গেছে। স্ক্যান করার সময় ওই জায়গা থেকে অনেক রক্তপাত হতে থাকে, যা খুবই করুণ এক দৃশ্য ছিল। আঘাতপ্রাপ্ত জায়গাটি কয়েকদিন কালশিটে হয়ে ছিল।’
তবে আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ মার্শ। এ নিয়ে মার্শ বলেন, ‘দুটো অণ্ডকোষই এখন ঠিকঠাক কাজ করছে, আশা করি সব ঠিকঠাকই আছে।’
গুরুতর এই চোট কাটিয়ে শেফিল্ড শিল্ডের আগামী রাউন্ডে ফেরার পরিকল্পনা করছেন মার্শ। শুধু তাই নয়, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের দলেও জায়গা করে নিতে চান ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।