ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা খেলারই একটা নিয়মিত অংশ। কোনো ক্রিকেট সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দেখা যায় ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ক্যাম্প করা হয়। যেখানে ক্রিকেটাররা জিমনেসিয়াম বা মাঠে নিজেদের ফিটনেসের পরীক্ষা দেন।
মূলত প্রধান স্কোয়াড নির্বাচেনের আগে প্রাথমিক স্কোয়াড নিয়ে এই ফিটনেস পরীক্ষা হয়, যেখানে নিজেদের ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত স্কোয়াড সাজানো সহজ হয়। বোঝা যায় খেলার জন্য কে কতটা ফিট।
শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবোয়ে-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি। এরপর জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এ উপলক্ষে বুধবার থেকে টাইগারদের শুরু হয়েছে ‘বিপ টেস্ট’ পরীক্ষা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্থানীয় ট্রেনার ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেস, খেলোয়াড়দের ফিটনেস বা শারীরিক যোগ্যতা সাধারণ মানুষের ফিটনেস থেকে কিছুটা আলাদা। তার ভাষায়, ‘ফিটনেস মূলত দু ধরনের- একটা সাধারণ মানুষের এবং অন্যটা খেলাধুলা বিষয়ক ফিটনেস। খেলাধুলায় থাকতে হলে প্রাসঙ্গিক ফিটনেস প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। মূলত ব্যাট, বল বা প্যাড নিয়ে ক্রিকেটারদের দম বিচার করাই বিপ টেস্টের কাজ।’
মূলত ‘বিপ টেস্ট বা ফিটনেস পরীক্ষা’র মাধ্যমে বোঝা যায় কোন ক্রিকেটার খেলার মাঠের জন্য কতটা উপযুক্ত। এ জন্য এ পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয় ভিওটুম্যাক্স নামে একটি বিশেষ পদ্ধতি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় জানা যায় কী পরিমাণ অক্সিজেন একজন ক্রিকেটার নিতে পারে, যা ক্রিকেটারদের প্রাণশক্তির নির্ণায়ক হতে পারে।’
এ ‘বিপ টেস্টে’ বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দমের রিডিং তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৩.৬। তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষায় আমরা নিজেরাই ভালো ফিল করি, এতে আমরা নিজেদের সম্পর্কে জানতে পারি, কে কতটুকু ফিট আছি।’
ইফতেখারুল ইসলাম জানান, ‘টাইগারদের গড় রিডিং ১১.৫, যেটা দমের জন্য ভালো রিডিং বলেই ধরা হয়। মূলত ক্যাম্পের প্রথম দিন বিপ টেস্টের মান কম থাকে, কারণ খেলোয়াড়রা ছুটি কাটিয়ে এসে প্র্যাকটিস সেশনে যোগ দেন। তবে যত দিন গড়ায় ততই ফিটনেসের মান তত বাড়ে।’
এছাড়া যাদের ফিটনেস কম থাকে, তাদের অনুশীলনের মাধ্যমে ফিটনেস বাড়ানো হয়। আর সে কারণেই এই বিপ টেস্ট খুবই জরুরি বলে জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এ ট্রেনার। সূত্র : বিবিসি