ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার অ্যালিস পেরি।
বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের অ্যামি স্যাটার্থওয়েট ও ভারতের হারমানপ্রিত কৌরকে পেছনে ফেলেন ৭টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৮৫টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলা পেরি।
গত ১৪ মাস ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ পারফরমেন্সই প্রদর্শন করেছেন ২৭ বছর বয়সী পেরি। এ সময়ে ৯০৫ রানের পাশাপাশি ২২ উইকেট নেন তিনি। রঙিন পোশাকে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পাশাপাশি টেস্টেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি।
একমাত্র দিবা-রাত্রির অ্যাশেজ টেস্টে ৩৭৪ বলে অপরাজিত ২১৩ রান করেন তিনি। এটিই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি। ড্র হওয়ার চার দিনের ঐ টেস্টে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন পেরি।
ওয়ানডে ও টেস্টে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে বেশ খুশি পেরি। বলেন, ‘নারী ক্রিকেটের জন্য এ বছরটা খুবই স্পেশাল, অনেক মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। র্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট অ্যাওয়ার্ড জেতাটা তাই আনন্দের ও সম্মানের। এই খেলাটার জন্য র্যাচেলের অবিশ্বাস্য অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি আমি।’
চলতি বছর থেকে আইসিসি বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কারটি র্যাচেল হেহো ফ্লিন্টের নামে করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো ইংল্যান্ডের সাবেক এই খেলোয়াড়কে সম্মান জানাতেই এমন সিদ্বান্ত নিয়ে রেখেছিল আইসিসি।
পেরির কাছে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব হারালেও বর্ষসেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় ঠিকই হয়েছেন স্যাটার্থওয়েট। গত ১৪ মাসে ওয়ানডেতে ২৪ ম্যাচে ১১৮৩ রান করেছেন তিনি।
এছাড়া বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ও উদীয়মান খেলোয়াড় খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন পেরির সতীর্থ বেথ মুনি। অসিদের হয়ে এখন পর্যন্ত ১টি টেস্ট, ১৭টি ওয়ানডে ও ১৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন ২৩ বছর বয়সী মুনি।
নারী খেলোয়াড়দের অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলও ঘোষণা করে আইসিসি। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের হেথার নাইট। আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টেফানি টেলর।
২০১৭ সালের আইসিসি নারী ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড
বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার : অ্যালিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া)।
বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার : অ্যামি স্যাটার্থওয়েট (নিউজিল্যান্ড)।
বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার : বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া)।
বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার : বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া)।