আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) আরও দুটি ম্যাচ বাড়লো বাংলাদেশের। ফলে ২০১৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত সবমিলে ম্যাচের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন চতুর্থ সর্বোচ্চ।
২০১৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪২টি টি-টোয়েন্টি। সদ্য হালনাগাদ করা টাইগারদের সূচির তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও দুই টি-টোয়েন্টি। এছাড়া ৮ ডিসেম্বরের এফটিপি প্রস্তাবনা অনুযায়ী টাইগারদের ভাগ্যে ছিল ১২২টি ম্যাচ। এর মধ্যে ৩৭টি টেস্ট, ৪৫টি একদিনের ম্যাচ ও ৪২টি টি-টোয়েন্টি নির্ধারণ করা ছিল।
এদিকে নতুন সূচিতে টেস্ট ও ওয়ানডের সংখ্যা অপরিবর্তিতই থাকছে। তবে টি-টোয়েন্টির সংখ্যা বেড়ে ৪৪ এ দাঁড়িয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী চার বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে ভারত। তাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা ১৫১টি। এর মাঝে ৩৭টি টেস্ট, ৬১টি একদিনের ম্যাচ ও ৫৩টি টি-টোয়েন্টি। এরপর আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের ভাগ্যে ম্যাচের সংখ্যা ১৪৯টি (২৯টি টেস্ট, ৬২টি একদিনের ম্যাচ ও ৫৮টি টি-টোয়েন্টি)। তৃতীয় অবস্থানে আছে ইংল্যান্ড-১৩৮টি (৪৭টি টেস্ট, ৪৯টি একদিনের ম্যাচ ও ৪২টি টি-টোয়েন্টি)।
পাকিস্তানে খেলার কথা ছিল ১০৪টি ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে আরও ১৭টি ম্যাচ জুটেছে। এর মাঝে আছে ৩০টি টেস্ট, ৪৩টি একদিনের ম্যাচ ও ৪৮টি টি-টোয়েন্টি।
অস্ট্রেলিয়া খেলবে ১২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ (৪০টি টেস্ট, ৪৫টি একদিনের ম্যাচ ও ৩৮টি টি-টোয়েন্টি), দক্ষিণ আফ্রিকা ১২২টি (৩২টি টেস্ট, ৪৫টি একদিনের ম্যাচ ও ৪৫টি টি-টোয়েন্টি)। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ১১৯টি (২৮টি টেস্ট, ৪৫টি একদিনের ম্যাচ ও ৪৬টি টি-টোয়েন্টি) এবং শ্রীলঙ্কা ১১৭টি (২৯ টেস্ট, ৫১টি একদিনের ম্যাচ ও ৩৭টি-টোয়েন্টি)।
অন্যদিকে নিচের সারির দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে আয়ারল্যান্ড- ১০৯টি (১৬টি টেস্ট, ৪৯টি একদিনের ম্যাচ, ৪৪টি-টোয়েন্টি), এরপর জিম্বাবুয়ে ৯৬টি (১৯টি টেস্ট, ৪০টি একদিনের ম্যাচ ও ৩৭টি টি-টোয়েন্টি) এবং আফগানিস্তান ৮৮টি ম্যাচ (১৪টি টেস্ট, ৪১টি একদিনের ম্যাচ ও ৩৩টি টি-টোয়েন্টি)।
নুতন বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে এ সূচি। সেখানে অনুমোদন পেলে জুনে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে আইসিসির বোর্ড সভায়।