ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হতে যাওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকেটের মূল্য ১৫১ পাউন্ড (প্রায় ১৬ হাজার টাকা)। কিন্তু সেই টিকেট বিক্রি হচ্ছে ১২০২৯ পাউন্ড বা ১৩ লক্ষ ১০ হাজার ২৫৭ টাকা! একটু অবাক হওয়ার মতো হলেও এটাই বাস্তব।
এই নিয়ে ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছে হইচই। তাই এবিষয়ে আইসিসি আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে।
জানা গেছে, ‘ভিয়াগোগো’ নামক ইংল্যান্ডের একটি ওয়েবসাইট ‘এজেন্ট সেলিং’য়ের মতো করে টিকিট বিক্রি করে থাকে। যাদের মূল কাজই হলো উৎস থেকে টিকিট ক্রয় করে সেটি সাধারণের মাঝে বিক্রি করে দেয়া। ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ নিয়মে যে কেউ চাইলেই একবার টিকিট কিনে সেটিকে নিজের ইচ্ছেমত দামে অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন।
তাই এই সুযোগ নিচ্ছে ওই ওয়েব সাইট। তারা ফাইনালের জন্য কয়েক হাজার টিকিট অনলাইনে ছেড়ে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১২০২৯ পাউন্ড বা ১৩ লক্ষ ১০ হাজার ২৫৭ টাকা। প্রাথমিকভাবে যারা আইসিসির ওয়েবসাইটে টিকিটের জন্য নিবন্ধন করতে পারেনি, তারাই মূলত ‘ভিয়াগোগো’ কিংবা ‘স্টাবহাব’ নামক ওয়েবসাইটগুলো থেকে টিকিট সংগ্রহ করে থাকে। মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখে ভিয়াগোগো তাদের ওয়েবসাইটে ‘সেলিং ফাস্ট’ বা দ্রুত বিক্রি নামক ক্যাম্পেইন খুলে ১৬ হাজার টাকার টিকিট ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ওয়েব সাইটটির এক মুখপাত্র আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘ভিয়াগোগো মূলত একটা মার্কেটপ্লেস। এখানে কোনো টিকিট বিক্রি বা কেনা হয় না। ভিয়াগোগো স্রেফ একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে তৃতীয় পক্ষের কাছে টিকিট পৌঁছে দেয়া হয়। আয়োজকরা প্রায়ই বলে থাকে যে এসব পুনরায় বিক্রি করা টিকিট অবৈধ। আমরা মনে করি এমন একদমই ঠিক নয়, অনুচিত। তবে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে ভিয়াগোগোতে যেসব টিকিট পাওয়া যায় সবগুলোই বৈধ এবং যে কেউ সহজেই এখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে যেকোনো ইভেন্টে যোগ দিতে পারবে।’
বিশ্বকাপ আয়োজকদের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছি এবং আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করবো। দ্বিতীয় শ্রেণীর যেসব সাইট টিকিট বিক্রি করছে তাঁরা আমাদের শর্তাবলী লঙ্ঘন করছে। আমরা এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’