৭১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্মৃতিটা ধরতে রাখতে ভারতের খেলোয়াড়রা ভিন্নভাবে জয়টা উদযাপন করেছেন। সিরিজ জয়ের পর মাঠে নেমে ভারতে খোলায়াড়রা এক সাথে সবাই নাচতে শুরু করেন।
তবে ভারতের সব খেলোয়াড়রা যখন নেচে জয়টা উদযাপন করছিল তখন পূজারা বোদহয় একটু লজ্জা পেয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু নাছোড়বান্দা কোহলীরা। জোর করেই পূজারাকে নাচকে বাধ্য করান।
বৃষ্টির কারণে সিডনি টেস্টের পঞ্চম দিন সোমবার একটি বলও করা যায়নি। আম্পায়াররা দুই অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেই টেস্টটি ড্র ঘোষণা করেছেন। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ভারত।
সিরিজ জয়ের ঘোষনার পর বিরাটের সহধর্মিনী অনুষ্কারও উদযাপন করে ভিন্ন ভাবে। গ্যালারি থেকে মাঠে বিরাটের কাছে চলে আসেন অনুষ্কা। দু’জনের চোখেই জল। কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। এর পর অনুষ্কার মাথায় হাত রাখেন বিরাট। মুচকি হেসে অনুষ্কাকে জরিয়ে ধরেন বিরাট।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন পূজারার নাচের প্রসঙ্গ। কিন্তু এই নাচের বিশেষত্ব কী? কোহালি বলেন, "সেটা ঋষভই বলতে পারবে। ও এভাবে নাচতে শুরু করায়, আমরাও তার দেখাদেখি নাচতে থাকি। ও ঠিক কী করতে চাইছিলে সত্যি বলতে সেটা জানা নেই। ব্যাপারটা ভাল লাগছিল। নাচটা বেশ সহজও ছিল। কিন্তু পূজারা সেটাও করতে পারছিল না। ও কতটা সহজ-সরল এতেই বোঝা যায়।"
জানতে চাওয়া হয়, পূজারা কি তবে নাচতে পারেন না? প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী বলেন, "চেষ্টা করা হচ্ছিল পূজারাকে নাচানোর।" এরপর কোহালি বলে ওঠেন, "এই নাচটা পূজারা ডান্স। যখন ক্রিজে ব্যাট করতে যাওয়ার জন্য হাঁটে, তখন হাত একেবারেই নাড়ায় না। এই নাচটা ওর হাঁটারই বর্ধিত অংশ। ঋষভ সেই কারণেই ওর হাত ধরে নাড়াচ্ছিল।" যা দাঁড়াচ্ছে, সিরিজ জয়ের পর পূজারার ব্যাটের মতোই চর্চা চলছে পূজারার নাচ নিয়ে।