বোলিং অ্যাকশন ‘শুধরানো’র পরীক্ষা দিতে লন্ডনে উড়াল দিয়েছেন পাকিস্তানি অব-স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজ। লন্ডনে তার বোলিংয়ের তৃতীয়বারের মতো পরীক্ষা করা হবে। এর আগেও তিনি অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।
সর্বশেষ গত অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হাফিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচ কর্মকর্তারা। এরপর গত ১ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) স্বীকৃত ইংল্যান্ডের লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি। কিন্তু সে পরীক্ষাতেও তার বোলিং অ্যাকশন যথার্থ হয়নি।
লন্ডনে দেয়া পরীক্ষার রিপোর্টে আইসিসি উল্লেখ করে, ‘বেশিরভাগ বোলিং ডেলিভারিতেই হাফিজের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকিয়ে যায়। যা আইসিসির নিয়মের অবৈধ।’ পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাফিজকে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। এ নিয়ে তৃতীয়বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হন হাফিজ।
২০১৪ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। পরে ডিসেম্বর থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে বোলিং অ্যাকশন শুধরে আইসিসির ছাড়পত্র পেয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে ফেরেন হাফিজ।
এরপর শ্রীলংকার বিপক্ষে গল টেস্টের পর আবারও বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহের তালিকায় পড়ে নিষিদ্ধ হন হাফিজ। পরে বোলিং শুধরে আবারও ফিরেন তিনি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ মাসের মধ্যে দু’বার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ার শাস্তিস্বরূপে ১২ মাসের জন্য বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হন হাফিজ। পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫০টি টেস্ট, ১৯৫টি ওয়ানডে ও ৮৫টি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন হাফিজ।