ভারতে ২০২১ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু আইসিসির ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাথে সুসম্পর্ক থাকার পরও ভারত কে কেন এমন হুমকি দেওয়া হলো?
ভারতের জনপ্রিয় বাংলা ভাষার পত্রিকা আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়ে ভারতে। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য কর দিতে হয়েছিল বিসিসিআইকে। পরে সে করের কিছু অংশ ফেরত পেয়েছে বোর্ড। এতে আয়োজনের খরচ কমলেও আইসিসি ভাগ পায়নি। এত দিন পর ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি এ নিয়ে সমন জারি করেছে বিসিসিআইয়ের প্রতি।
ক্ষতিপূরণ বাবদ বিসিসিআইয়ের কাছে ২৩ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে আইসিসি। টাকা দেওয়ার সময়সীমা বছরের শেষ দিনটি পর্যন্ত, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর। গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরে আইসিসির সভায় বিসিসিআই কর্তাদের এ কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। এ থেকে হাজার কোটি রুপির ব্যবসা করার আশায় ছিল পিসিবি। কিন্তু সেটা না হওয়ায় ৪৪৭ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আপিল করেছিল পাকিস্তান। সে ক্ষতিপূরণ তো হয়ইনি, উল্টো ভারতীয় বোর্ডের খরচের বেশির ভাগ তাদের বহন করতে হচ্ছে তাদের। আইসিসির ডিসপিউট প্যানেল পাকিস্তানকে বলেছে, এই আপিলের ফলে ভারতীয় বোর্ডের যত খরচ হয়েছে তার ৬০ ভাগ দিতে হবে পিসিবিকে।
প্রসঙ্গত, ১৯০৯ সালে ইংল্যান্ডের লর্ডসে আইসিসির যাত্রা শুরু হয়। তখন এর নাম ছিল ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্স।প্রতিষ্ঠাকালীন এর সদস্য ছিল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৬৫ সালে সংস্থার নাম পরিবর্তিত হয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কনফারেন্স নামকরণ করা হয়। পূর্বে কেবলমাত্র টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোই এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসময় থেকে এসব দেশের বাইরে অন্য দেশকেও আইসিসি'র সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে আবারো এর নাম পরিবর্তন করা হয়। এবার নামকরণ করা হয় 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল' যা অদ্যাবধি প্রচলিত।