ঢাকা টেস্টের শুরুতে ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে অনেকটা চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল ব্যাট সেই চাপ কিছুটা কমিয়ে দলকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। বলের গুণাগুণ বজায় রেখে খেলেন তারা। তাতে প্রথম সেশন শেষে প্রতিরোধের আভাস পাওয়া যায়। দ্বিতীয় সেশনে সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন এ জুটি। দারুণ খেলছেন মুমিনুল ও মুশফিক।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক (৬৩*) এবং মুশফিকুর রহিম (৫১*) রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
সিলেটে পাননি, তবে রবিবার ঢাকায় টস ভাগ্যকে পাশে পান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। শুভসূচনা এনে দিতে পারেননি তারা।
সূচনালগ্নেই কাইল জার্ভিসের বলে উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল। ১৬ বল খেলেও ব্যক্তিগত রানের খাতায় কোনো রান যোগ করতে পারেননি এ ওপেনার। খানিক বাদেই একই বোলারের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন।
পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। তবে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তিনি। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে স্লিপে ব্রেন্ডন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সিলেট টেস্টে বাজেভাবে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে ঢাকা টেস্টে হার এড়ালে কিংবা ড্র করলেই হবে না, জিততেই হবে টাইগারদের। ফলে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁচামরার।
এমন সমীকরণে বাংলাদেশ একাদশে এসেছে তিন পরিবর্তন। অভিষেক হচ্ছে সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ মিথুনের। একাদশে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। গেল ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন তিনি।
বাদ পড়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।