অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পাইন বলেছেন, ক্রিকেট ও এর ঐতিহ্যের প্রতি ক্রিকেটারদের সম্মানবোধ থাকতে হবে। এর মাধ্যমে গোটা অস্ট্রেলিয়াকে এটি নিয়ে গর্ববোধ করার জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে।’ সোমবার অসি ক্রিকেট দল সংক্রান্ত এথিক কমিটির পর্যালোচনা প্রকাশিত হবার পর অসি অধিনায়ক এ মন্তব্য করেছেন।
ওই পর্যালোচনার এক অংশে বলা হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ‘অহংকার ও যে কোনভাবে ম্যাচ জয়ের’ সংস্কৃতিই খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন একটি মানসিকতা সৃষ্টি করেছে। তবে জাতীয় দলের জার্সির প্রতি খেলোয়াড়দের যেমন সম্মানবোধ দেখাতে হবে তেমনি স্বচ্ছতা বজায়ে রেখে কঠোর পরিশ্রম করে খেলতে হবে।
খেলোয়াড়দের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, এমন বিষয়ে এক জায়গায় লেখা রয়েছে, ‘এই খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই ভাগ্যবান। এই খেলা এবং ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের অবশ্যই সম্মানবোধ থাকতে হবে। আমরা গোটা অস্ট্রেলিয়বাসীকেই গর্বিত করতে চাই, সে জন্য লড়াই করতে হবে, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে, আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।’
সাবেক অসি ব্যাটসম্যান রিক ম্যাককসকার, এথিক কনসাল্টেন্ট পিটার কলিনস, অসি কোচ জস্টিন ল্যাঙ্গার, টেস্ট অধিনায়ক টিম পাইন, মহিলা দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক রাচেল হেইন্স, প্যাট কামিনস, জর্জ বেইলি এবং শেন ওয়াটসনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই পর্যালোচনামূলক রিপোর্ট তৈরী করেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে পাইন বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে মান বজায় রেখে খেলার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে খেলোয়াড়দের। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদেরকে আগামী ম্যাচগুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে, গর্ব নিয়ে খেলতে হবে এবং অস্ট্রেলিয়ার গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।’
পাইন বলেন, খেলোয়াড়রা এখন বুঝতে পেরেছে তাদের কি করতে হবে এবং কি করা যাবেনা। মাঠে নিজেদেরকে নিজেরাই দেখভালের দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেন, ‘আপনি কখনো ক্রিকেটের এমন একটি খেলা খেলতে যাবেন না যেখানে একে অপরের সঙ্গে কথা বলবে না। আমি মনে করি এটি খেলারই একটি অংশ এবং এটি সর্বদাই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এখন থেকে আমরা যা জানি, সেটির সংস্পর্শে থাকব। কোনটি সঠিক এবং কোনটি মিথ্যা তা জানি। আমরা জানি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট আমাদের কাছে কি প্রত্যাশা করে। আমরা একে অপরের কাঁধে কাধ মিলিয়ে সে বিষয়ে দারবদ্ধ থাকব। এখন কোথায় অবস্থান করছি, কতদূর যেতে হবে এবং কোথায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই তা আমরা জানি।’