ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে নিজ শহর চট্টগ্রামে কোন ম্যাচ মিস করেননি তামিম। ১০ বছর পর সেই নিজ শহরে এবার নেই তামিম। হাতের কব্জির ইনজুরিতে ছিটকে পড়েছেন বাইরে। ইংল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসা শেষে এখন রিহ্যাব করছেন তামিম।
এই শহরে যখন প্রথম আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ হয়, সেই তখন থেকে চট্টগ্রামের অন্তত এক বা দুজন ক্রিকেটার ছিলেন বাংলাদেশ দলে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, ইনজুরি এবার তামিমকে ঠেলে দিয়েছে এই সিরিজের বাইরে। এখন তামিম নেই, চট্টগ্রামের প্রতিনিধিও নেই। একাদশে বহুদূরে, স্কোয়াডেই বন্দর নগরীর কোন ক্রিকেটার নেই। সময়ের হিসেব কষলে ১০ বছর পর চট্টগ্রামে কোন ওয়ানডে হচ্ছে, যাতে চট্টগ্রামের একজন ক্রিকেটারও নেই।
ওয়ানডে অভিষেকের পর থেকে তামিম ২৩ টি ওয়ানডে মিস করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সবকটা ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১০ সালে ছিলেন না নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের সিরিজে। তারপর আবার ২০১১-২০১২ সালেও সব ম্যাচই খেলেছেন। ২০১৩ সালে তিনটি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। ২০১৪ সালেও সাত ম্যাচ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি। ঠিক তার পরের দুই বছর মানে ২০১৫-২০১৬ সালে একটি ম্যাচও বাদ যায়নি। সব ওয়ানডেই খেলেছেন। ২০১৭ সালে দুটি মাত্র ম্যাচ খেলতে পারেননি।
তবে তামিমের ক্যারিয়ারে এবছর মানে ২০১৮ সালই ইনজুরির বছর হয়ে দেখা দিয়েছে। এবছর এরই মধ্যে তামিম খেলতে পারেননি ছয়টি একদিনের ম্যাচ। তার নিজ শহর চট্টগ্রামে শেষ দুই ওয়ানডে যোগ হলে খেলতে না পারা ম্যাচের সংখ্যা দাড়াবে আটটি।
দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এই প্রথম নিজ শহরে ওয়ানডে মিস করছেন তামিম। খান পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ অথচ সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাকে আজকের ম্যাচে মিস করবে তার নিজ শহর চট্টগ্রামও।
তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবালও ছোট ভাইকে অনেক মিস করছেন। যদিও বিপিএলের কারণে এখন নিজ শহর চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকাতেই থাকতে হচ্ছে নাফিসকে। মাত্র তিনদিন পরে বিপিএলের প্লেয়ারস ড্রাফট। নাফিস ইকবাল হচ্ছেন খুলনা টাইটানসের ম্যানেজার। তাই এখন রাজধানীতে ব্যস্ত সময় কাটছে নাফিসের।
চট্টগ্রামে না থাকায় খেলা দেখা হবে না, তার ওপরে তামিমও নেই। দুইয়ে মিলে মন ভালো নেই নাফিসের, ‘আমার মতো চট্টলাবাসী মিস করবে তামিমকে। আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্য ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ। তারা হয়তো মাঠে গিয়ে খেলা দেখবে। আমার চাচা আকরাম খান ম্যানেজার হয়ে দলের সঙ্গেই আছে। তবে ছোট ভাই তামিম নেই, তা ভাবতে সত্যিই খারাপ লাগছে। কারণ তামিম জাতীয় দলে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে, অনেক পরিশ্রমও করে। তাই সে যখন খেলতে পারে না, আমাদের সত্যিই খুব খারাপ লাগে, এবারও লাগছে।’