ছেলেকে নিয়ে নিজ রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে সার্ফিং করতে গিয়ে মহাবিপদ পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। অল্পের জন্য বড় বাঁচা বেঁচে ড়েছেন তিনি।
সমুদ্রে দীর্ঘক্ষণ সার্ফিং করার পর বড় ধরনের ঢেউয়ের সাথে তাল মেলাতে না পারলে বালিতে পড়ে যান হেইডেন। পড়ে গিয়েই গুরুতর চোট পেয়েছেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। তবে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি।
ছুটি পেয়ে ছেলে জশ হেইডেনকে নিয়ে কুইন্সল্যান্ডের নর্থ স্ট্র্যাডব্রোক দ্বীপে সার্ফিং করছিলেন হেইডেন। দীর্ঘক্ষণ ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষতার সাথে সার্ফিং করছিলেন তিনি। কিন্তু এক পর্যায়ে তুমুল ঢেউয়ের কাছে হার মানেন হেইডেন। বালিতে পড়ে গিয়ে ঘাড়ে-মাথায় চোট পেয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে নিজেই এ খবর দিয়েছেন হেইডেন।
শরীরে আঘাত পাওয়া বিভিন্ন স্থানের তার কিছু ছবিও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন হেইডেন। পাশাপাশি পুরো ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি, ‘কয়েক ঘণ্টা সার্ফিং করার পর ঘটনাটি ঘটে। আমরা আধ ডজন ঢেউ সামালে নিয়েছিলাম। কিন্তু ডান দিক থেকে একটা বড় ঢেউ এসেছিল। আমি পাশ কাটার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। ফলে বালুর নিচে আছড়ে পড়ি। তারপর কি হয়েছে মনে নেই।’
তিনি আরও লিখেন, ‘নিজের শরীরের ওজন আর ঢেউয়ের চাপে ঘাড় মচকে গিয়েছিল। ঘাড়ের কাছে ভাঙার শব্দও শুনতে পেয়েছিলাম। তবে আমি শেষ হয়ে যাইনি এটা বুঝতে পারছিলাম। এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করে দেখা গেছে মাথায়, ঘাড়ে আঘাত লেগেছে। চিড় ধরেছে মেরুদণ্ডে। কপালও কেটে গেছে। পায়ের লিগামেন্টও ছিড়ে গেছে।’
এত বড় দুঘর্টনার পরও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারাননি হেইডেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তিনি, ‘সমুদ্র দেয় এবং সমুদ্র ফিরিয়ে নেয়, তবে আমি আবারও ফিরব।’
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন হেইডেন। দেশের হয়ে ১০৩টি টেস্ট, ১৬১টি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। টেস্টে ৮৬২৫, ওয়ানডেতে ৬১৩৩ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩০৮ রান করেন হেইডেন।