এশিয়া কাপ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের শিরোপা উদ্ধার করলো ভারত। প্রথম পাঁচ আসরে শিরোপা জয়ের পর ষষ্ঠ আসরে সেরা হতে পারেনি ভারত। তবে সপ্তম আসরের ফাইনালে আজ শ্রীলঙ্কাকে ১৪৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় ভারত। ব্যাট হাতে শুভসূচনা করে ভারত। দুই ওপেনার ইয়াসাসভি জিসওয়াল ও অনুজ রাওয়াত ১৫১ বলে ১২১ রানের জুটি গড়েন। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন।
রাওয়াত ৫৭ রানে ফিরলেও সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন জিসওয়াল। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন জাইসওয়াল। ৮৫ রানে থেমে যান তিনি। ১১৩ বল মোকাবেলা করে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান জিসওয়াল।
তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামা দেবদূত পাদিক্কাল ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেধে অধিনায়ক সিমরান সিং ও আয়ুশ বাদোনি দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন।
ইনিংসের শেষ ৫৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ১১০ রান যোগ করেছেন সিমরান ও বাদোনি। সিমরান ৩টি ও ৪টি ছক্কায় ৩৭ বলে ঝড়ো ৬৫ রান করেন। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন বাদোনিও। অধিনায়কের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিলেন তিনি। মাত্র ২৮ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫২ রান করেন বাদোনি। তাদের দুরন্ত জুটির কল্যানে ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩০৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।
প্রথমবারের মত শিরোপা জয়ের জন্য ৩০৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নিশান মাদুশাকা ও পাসিন্দু সুরিয়াবান্দরা লড়াই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড় লক্ষ্যের জন্য বড় জুটি গড়তে পারেননি তারা। ৪৬ রান যোগ করেন তারা। মাদুশাকা ৪৯ ও সুরিয়াবান্দারা ৩১ রানে ফেরেন।
এরপর আর কোন বড় জুটি গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার হার্স তিয়াগির ঘুর্ণির সামনে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেনি। যাওয়া-আসার মিছিল করে কোন ব্যাটসম্যানই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। একমাত্র নাভোদ পারানাবিথানা ছিলেন ব্যতিক্রম। ২টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ বলে ৪৮ রান করেন পারানাবিথানা। ফলে কম রানে গুটিয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা পায় শ্রীলঙ্কা।
শেষ পর্যন্ত ৬৮ বল বাকি রেখে ১৬০ রানে অলআউট হয় লঙ্কান যুবারা। ভারতের তিয়াগি ৩৮ রানে ৬ উইকেট শিকার ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। টুর্নামেন্ট সেরা হন ভারতেরই জিসওয়াল।
১৯৮৯ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ঐ আসরটি হয়েছিল বাংলাদেশে। প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপরের চার আসরেও শিরোপা জিতে তারা। তবে গেল বছর ভারতের সেরা মুকুট ছিনিয়ে নেয় আফগানিস্তান। কিন্তু এক বছর বাদে আবারও শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো ভারত।